| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মহানগর ঢাকা মহানগরের ৩৯নং ওয়ার্ড জমিয়তের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত


ঢাকা মহানগরের ৩৯নং ওয়ার্ড জমিয়তের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে মানুষ দিশেহারা : মুফতী মকবুল হোসাইন কাসেমী


রহমত ডেস্ক     10 September, 2022     05:26 PM    


জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর আওতাধীন ভাটারা থানার অন্তর্গত ৩৯নং ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সাঈদনগর বি-ব্লকে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর সহ সভাপতি ও ভাটারা থানা সভাপতি মুফতী মকবুল হোসাইন কাসেমী। প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর জমিয়তের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ভাটারা থানা সাধারণ সম্পাদক মুফতী আনিসুর রহমান। ওয়ার্ড জমিয়তের সভাপতি ক্বারী আজাদ হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নূর হোসাইনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ভাটারা থানা জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হোসাইন আহমদ, ৩৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান, ১৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরীফ, ৪০ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাওলানা গোলাম রব্বানী, ৩৯নং ওয়ার্ডের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মনসুরুল হক্ব, জমিয়ত নেতা জনাব খায়রুজ্জামান, ৩৯ নং ওয়ার্ড ছাত্র জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ সিদ্দিকী, ছাত্রনেতা আবুল হাসনাত, মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।

মুফতী মকবুল হোসাইন কাসেমী বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্র এখন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তরবারির জিহাদের পরিবেশ নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার পদ্ধতি হলো- সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং, ভোট এবং নির্বাচনের মাধ্যমে। এজন্য আমাদের সাংগঠনিক ভীত মজবুত এবং শক্তিশালী করতে হবে। ভাটারার প্রতিটি ঘরে ঘরে জমিয়তের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ দিশেহারা। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে তাদের দায়িত্ব হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা। কিন্তু সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলতে হবে। মুসলিম-অমুসলিম সকল মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর্তমানবতার সেবায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যে যেখানে বিপদে পড়ুক আমাদের সাধ্যানুযায়ী তার সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে। মানবতার সেবা করা আমাদের নবীর সুন্নত, আমাদের নবীর আদর্শ। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামেরও অন্যতম কর্মসূচি।

আকাবিরে দারুল উলুম দেওবন্দের ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরে মুফতি মকবুল হোসেন কাসেমী বলেন, ১৯০ বছর ইংরেজদের গোলামীর হাত থেকে উপমহাদেশের মুসলমানদের রক্ষা করতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ সালে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ নামে এই দলের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নামে পাকিস্তানে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ নামে কার্যক্রম শুরু হয়। শতবর্ষী এই সংগঠন শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্লাটফর্ম নয়। উপমহাদেশের মুসলমানদের শিক্ষা-সংস্কৃতি, তাহযিব-তামাদ্দুন রক্ষারও অন্যতম প্লাটফর্ম।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: