রহমত ডেস্ক 10 September, 2022 05:37 PM
পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব পুলিশ একাডেমিস-ইন্টারপা সম্মেলন পুলিশের দক্ষতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন ইন্টারপার সম্মেলন এ বছর কাজাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সেখানে করা সম্ভব হয়নি। পরে ইন্টারপার সদর দপ্তর তুরস্ক থেকে বাংলাদেশে এটি আয়োজন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ প্রস্তাব গ্রহণ করে। এরপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সবকিছু শেষ করে ১১ তম ইন্টারপার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী বছর সম্মেলন হবে ভারতে, তার পরবর্তী বছর সৌদি আরবে।
আজ (১০ সেপ্টেম্বর) শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে পুলিশ স্টাফ কলেজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উল্লেখ, আগামী ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী ১১ তম ইন্টারপা সম্মেলন বাংলাদেশে আয়োজিত হতে যাচ্ছে। ইন্টারপার নির্বাচন তিন বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সম্মেলনে বাংলাদেশ সহ-সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবে। এছাড়া সম্মেলনে ১৩ টি পেপার বুক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ১২ সেপ্টেম্বর গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ইন্টারপা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন দেশের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে নিয়ে যাওয়া হবে। তারা সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এছাড়া পুলিশের স্মৃতি জাদুঘর রাজারবাগ পুলিশ লাইন পরিদর্শন করানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে থেকে জানানো হয়, ডিজিটালাইজেশন অফ পুলিশিং প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া ইন্টারপা সম্মেলনে এ বছর বাংলাদেশসহ ৪৫টি দেশের ১২৭ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। ৫৯টি দেশের ৭৬টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ইন্টারপার সদস্য। ইন্টারপা অগ্রিম তিন বছরের পরিকল্পনা ঠিক করে রাখে। বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে থাকা পুলিশ সুপার পদমর্যাদা থেকে মেজর জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনের ফলে বিভিন্ন দেশের পুলিশিং ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো। সেইসঙ্গে বিভিন্ন দেশের পুলিশিং ব্যবস্থার বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হতে পারবো। সরাসরি অংশগ্রহণের কারণে অনেক ধরনের অজানা বিষয় সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পুলিশের ডিজিটালাইজেশন এবং সাইবার সিকিউরিটি সক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে, এ ধরনের সম্মেলন এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের আরও দক্ষ হয়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়। প্রশিক্ষণের বিভিন্ন বিষয় কাজে লাগিয়ে পুলিশ সদস্যদের কর্মকাণ্ডে দক্ষতা বাড়াতে কাজ করবে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। পুলিশের সক্ষমতা ও দেশ সম্পর্কে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের আমরা অবগত করতে পারবো। বিভিন্ন দেশের পুলিশিং ব্যবস্থা কেমন তাদের কাছ থেকে ধারণা নিতে পারব তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারব এবং তারাও আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারবে।