| |
               

মূল পাতা রাজনীতি অন্যান্য রাতে ভোটের কাজ হয়, আমরাও করিয়েছি : ইসিকে চুন্ন


রাতে ভোটের কাজ হয়, আমরাও করিয়েছি : ইসিকে চুন্ন


রহমত ডেস্ক     31 July, 2022     04:57 PM    


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটবাক্স ভরার বিষয়টি প্রকারান্তরে স্বীকার করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর প্রস্তাব করছি। তাহলে রাতের বিষয়টি আর আসে না। এখন প্রত্যেকটি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। কাজেই চাইলে সকালে ব্যালট পৌঁছানো সম্ভব। রাতে কিন্তু কাজটা হয়। কী বলবো! এটা আমরাও করিয়েছি। হয় না- এটা ঠিক নয়।

আজ (৩১ জুলাই) রবিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ভুইয়া ও যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু। এতে সিইসিসহ অন্য চার কমিশনার এবং ইসি সচিব অংশ নেন।

নির্বাচন কমিশন অসহায় উল্লেখ করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোট গ্রহণের বিরোধিতা করে  জাপা মহাসচিব বলেন, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কোনো যৌক্তিকতা নেই। ইভিএমে ভোট হলে আসন্ন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথাও বলেন তারা। ইভিএমে আমাদের আস্থা নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমারও এতে কোনো আস্থা নেই। মানুষ মনে করে ইভিএমে ভোট পাল্টে দেওয়া হলে কিছু করার নেই। কারণ ফল রি-চেক করা যায় না।  ইভিএম সম্পর্কে আপনাদের (নির্বাচন কমিশন) এক্সপার্টদের কথাও আমার মাথায় ঢোকেনি। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ছাড়া ইভিএম ব্যবহার যৌক্তিক হবে না।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন ব্যালট পেপারে গ্রহণের দাবি করে চুন্নু বলেন, আমরা চাই ওই নির্বাচনটি ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হোক। নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। নির্বাচন ইভিএমে হলে জাতীয় পার্টির যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

জাতীয় পার্টি প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে- আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন, নির্বাচনী কর্মকর্তারা নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ না করে নিজস্ব ক্ষমতাবলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে আইন প্রণয়ন, নির্বাচনী খরচ ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করা, প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সীমা তুলে দেওয়া, ইউটিলিটি বিল, ক্রেডিট কার্ড-এর বিলের জন্য প্রার্থিতা বাতিলের বর্তমান বিধান বাতিল করা, সরকারি কর্মচারীরা অবসরে যাওয়ার পরে সরকারি মালিকানাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের তিন বছর না গেলে নির্বাচন করতে না পারার বিধান করা।