রহমত ডেস্ক 19 July, 2022 08:33 PM
শিশুর সর্বোচ্চ বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে আনার প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বলছে, শুধুমাত্র বয়স কমিয়ে শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে শিশু-কিশোর অপরাধের মতো জটিল মনো-সামাজিক সমস্যার সমাধান করা যাবে না, বরং এতে বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। আজ (১৯ জুলাই) মঙ্গলবার বিকালে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত জুলাইয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রীসভা কমিটির সভায় সাভারে শিক্ষক হত্যাসহ কিশোর অপরাধ বিস্তারের ঘটনা উল্লেখ করে শিশুর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ১৮ বছর থেকে কমানোর সুপারিশ এসেছে বলে জানা যায়। শিশুর বয়স কমানোর এই সুপারিশ সরকার স্বীকৃত শিশু বিষয়ক আন্তর্জাতিক নীতিমালার পরিপন্থী। বাংলাদেশ সরকার শিশু সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সকল সনদ বিচার বিবেচনা করে শিশুর সর্বোচ্চ বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করে শিশু নীতি ২০১১ এবং শিশু আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে।
মহিলা পরিষদের মনে করে, শিশুর সার্বিক বিকাশ ও সর্বোচ্চ কল্যাণের দিক বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠু পারিবারিক-সামাজিক পরিবেশ; সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার ব্যবস্থা; মানবিকবোধ সম্পন্ন, যুক্তিবাদী বিজ্ঞান নির্ভর সৃজনশীল শিক্ষা এবং বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়া শিশুদের সংশোধনের জন্য সংবেদনশীল প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। শিশু-কিশোরদের মারাত্মক অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার পেছনে মূল ব্যক্তিদের শনাক্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা প্রয়োজন। শুধুমাত্র বয়স কমিয়ে শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে শিশু-কিশোর অপরাধের মতো জটিল মনো-সামাজিক সমস্যার সমাধান করা যাবে না। শিশুর বয়স কমানো হলে বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।