রহমত ডেস্ক 03 July, 2022 06:33 PM
প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি কাজী হাবি-বুল আউয়াল বলেছেন, ১৪ দেশের কূটনৈতিক নির্বাচন কমিশনে এসে প্লিজড (খুশি)। আমরা ওনাদের বলেছি, ভবিষ্যতে ইসিতে প্রয়োজন হলে আসবেন। ওনারা এসেছেন এটা একটা ট্র্যাডিশন। আগেও এসেছিলেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইন-কানুন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো জানিয়েছি। ওনারা সাধারণত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর জোর দিয়ে থাকেন।
আজ (৩ জুলাই) রবিবার বিকাল ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) ১৪ দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস, কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকোলস, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ফ্রান্সের সহকারী রাষ্ট্রদূত গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিটেজ সালাস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তোরান এবং জাপানের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়ামায়া হিরোয়ুকি৷ এছাড়া বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, সেজন্যই ওনারা বলেছেন, ইলেকশনটা যদি ইনক্লুসিভ, একসেপ্টবল, ফ্রি এবং ফেয়ার হয়, তাহলে ওনারাও খুশি হবেন। সেই সঙ্গে পুরো দেশবাসী খুশি হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তারা। আমরা আমাদের দিক থেকে ইলেকশন কমিশন হিসেবে আমাদের যা যা করণীয় আমরা করব। ওনারা প্লিজড। বলেছি ভবিষ্যতেও যখন প্রয়োজন হয়, আসবেন। ওরা যেটা বলেছে সহযোগিতা করার কথা। আমরা চট করেই নিজেরা কিছু বলিনি। আমরা বলেছি আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দেখব। কোনো টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা ওনাদের জানাব। আমরা বলেছি সেটা আমরা বিবেচনা করে দেখব। আমরা এখনো সহযোগিতা চাইনি।
তিনি আরো বলেন, এটা ইলেকশন রিলেটেড। যেটা হতে পারে ভোটার এডুকেশন, ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয় হতে পারে। আমি তো বলেছি আমরা ওনাদের জানাইনি এখনো। আমরা যদি মনে করি, কোনো রকম সহযোগিতা বা ট্যাকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ট্রেনিং প্রয়োজন হবে, তখন ওনাদের জানাব। এজন্য নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কী ধরনের সহযোগিতা ওনারা দেবেন বা আমরা কী ধরনের সহযোগিতা চাইব। ওনারা পর্যবেক্ষকের কথা বলেছেন, আমরা বলেছি আমাদের এদিক থেকে কোনো বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে ডিপ্লোমেটিক্যালি আলোচনা করে দেখতে পারেন। ফরেন অবজারভারদের বিষয়ে আপনারা ফরেন মিনিস্ট্রিতে একটু কথা বলে দেখতে পারেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্বের বিষয়ে ওনারা তেমন কিছু বলেননি। ওনারাও খুব ভালো করেই জানেন এখনো কিছু কিছু দল ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। ওনারাও বিশ্বাস করেন, আমরাও চেষ্টা করে যাব, যেন ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।