| |
               

মূল পাতা রাজনীতি উদভ্রান্তের মতো কথা বলা বিএনপির মজ্জাগত স্বভাব : তথ্যমন্ত্রী


ফাইল ছবি

উদভ্রান্তের মতো কথা বলা বিএনপির মজ্জাগত স্বভাব : তথ্যমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     02 July, 2022     07:48 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কপর্দকহীন এবং উদভ্রান্তের মতো কথা বলা বিএনপির মজ্জাগত স্বভাব হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় সারাদেশের মানুষ যখন উল্লসিত এবং পদ্মা সেতু নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদেরকে মানুষ ধিক্কার দিচ্ছে, তখন তারা খেই হারিয়ে নানা ধরনের উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছে। আজ (২ জুলাই) শনিবার দুপুরে তার চট্টগ্রাম নগরীর বাসায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবার পর রিজভী সাহেব কয়েকদিন নিখোঁজ ছিলেন, হঠাৎ বের হয়ে তিনি এখন নানা ধরনের কথা বলছেন। বন্যা হবার পর সেখানে বিএনপির কেউ যায়নি এবং বিএনপি কপর্দকহীনের মতো বলেছে, ত্রাণ দেয়া তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য নয় । আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন দুর্যোগ দুর্বিপাকে সবসময় দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদের নেত্রী ছুটে গেছেন, কিন্তু তারা এবার যায়নি। তাছাড়া, সংসদে এমপি মমতাজ বেগম তার বক্তব্যের শেষাংশে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতা হারুনুর রশীদের অনুরোধেই আরেকটি গান গেয়েছিলেন। সেটি মনে হয় রিজভী সাহেব জানেন না। হাইকোর্টের একটি রায়ে পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। রায়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কি করা যায় সরকার বিবেচনা করবে।

তিনি আরো বলেন, সারা পৃথিবীতে তাহলে করোনা কি জন্য বাড়ছে? ভারতে বিজেপি’র কারণে বাড়ছে কি না? বন্যা হবার পরও বিএনপি বলেছে, সরকারের কারণে বন্যা হয়েছে তবে কি আসাম এবং মেঘালয়ে দুই হাজার এবং সিলেটে একদিনে হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিও আওয়ামী লীগের কারণে হয়েছে ? ১২২ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে, সে জন্যই বন্যা এবং বন্যার শুরু থেকে আমাদের সরকার ও দল সর্বাগ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, বন্যার পানিতে ডুবে এবং সাপের কামড়ে কয়েকজন মারা গেছে সেটা সত্য, কিন্তু অনাহারে কোন মানুষ মারা যায়নি।

এদিকে দুপুরে রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি'র তৃতীয় সম্প্রচার সম্মেলনে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, দেশের কোনো টিভি চ্যানেল একসাথে একাধিক বিদেশি সিরিয়াল সম্প্রচার করতে পারবে না।  দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য -সংস্কৃতি- কৃষ্টি রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যম দেশের অন্যতম পথপ্রদর্শক, যা কোনভাবেই মালিকপক্ষের স্বার্থরক্ষায় ব্যবহৃত হওয়া উচিত নয়। একইসাথে মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনের পরিবর্তন-পরিবর্ধনে সাংবাদিকদের সাথে সরকার একমত এবং সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনের লিখিত প্রস্তাবনার অপেক্ষায় রয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। দেশের গণমাধ্যমকে সমৃদ্ধতর করতে বিজেসির ভূমিকা জোরদারে গুরুত্ব দেন। তথ্যসচিব এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ সম্প্রচার সম্মেলনের সাফল্য কামনা করেন তিনি।

ঢাকা প্রান্তে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। বিজেসির অন্যতম ট্রাস্টি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে আলোচনা করেন বিজেসি সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, পরিচালকদের মধ্যে রাশেদ আহমেদ, নূর উস-সাফা জুলহাজ, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।