রহমত ডেস্ক 20 June, 2022 09:29 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ এমপি হারুনুর রশীদ বলেছেন, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, দেশে এখন ভয়াবহ বন্যা। স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যায় আজকে সুনামগঞ্জসহ সিলেট বিভাগ পানির নিচে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় তীব্র বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সংসদে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। আমি গতকাল আপনার (স্পিকার) কাছে সময় চেয়েছিলাম, আপনি পরে সময় দিতে চেয়েছিলেন। গতকাল আমাদের মুলতবি প্রস্তাবে একটা নোটিশ দিয়েছিলাম। এ সময় জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি ৬১ সংসদে পড়ে শোনান তিনি।সোমবার (২০ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মুলতবি প্রস্তাবের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে হারুনুর রশিদ বলেন, এখানে বলা হচ্ছে, বাজেটের সাধারণ আলোচনার জন্য কোন দিন মুলতবি প্রস্তাব উত্থাপন করা যাবে না। এ সময় স্পিকার বলেন, আপনি নিজেই তো পড়ছেন। কার্যপ্রণালী বিধি ৬৫ তুলে ধরে হারুনুর রশিদ বলেন, কার্যপ্রণালী বিধি যখন প্রস্তুত হয়েছে, তখন সিলেটে এ ধরনের বন্যা হয়নি। ১২২ বছরের মধ্যে যে ভয়াবহ বন্যা এবং মানুষ ওখানে আজকে যে ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এ সময় স্পিকার বলেন, আপনি পয়েন্ট অব অর্ডারের ওপর বললে বলেন। কার্যপ্রণালী বিধির ওপর বলার সুযোগ নেই। কারণ আপনি নিজেই পড়ে শুনিয়েছেন। বাজেট অধিবেশনে মুলতবির কোনও সুযোগ নেই।
হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা আলোচনা চাই। আমরা কিছুদিন আগে সীতাকুণ্ডে যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সেটার ব্যাপারে মন্ত্রীর বিবৃতি চাইলাম। এখনও বিবৃতি পাইনি। সেখানকার অবস্থা কী আমরা এখনও জানি না। বন্যা পরিস্থিতি যে ভয়াবহ অবনতি হচ্ছে। সেখানে মানুষ যে দুর্ভোগে আছে, এ বিষয়গুলো নিয়ে কি আলোচনা হবে না?অতীতে সাধারণ আলোচনায় মাঝে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনার সুযোগ চাই। যদি আপনি বলে দেন যে, সাধারণ আলোচনা ছাড়া কোনও আলোচনা হবে না। তাহলে আপনি নির্ধারণ করে দেন যে, আমরা কবে বক্তৃতা দেবো, সেদিন ছাড়া আমরা আসবো না।
সংসদের আসন দেখিয়ে তিনি আরো বলেন, আজকে দেখেন সমস্ত চেয়ার খালি, মন্ত্রীদের চেয়ার খালি। বিরোধী দলের সদস্যরা নেই। কেন থাকছে না? আপনি যদি সংসদের কার্যক্রমে বিরোধী দলের সদস্য, সরকার দলের সদস্যদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ না দেন, তাহলে আপনি নির্ধারণ করে দেন, আমরা কবে বক্তৃতা দিতে আসবো। বাদ বাকি দিন আসার কোনও প্রয়োজন নেই। আমি মনে করি, আজকে এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংসদের আলোচনা দরকার আছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার কী করছে, আমাদের কী করা দরকার সে বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি দয়া করে সময় দেবেন, এটার জন্য আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।