রহমত ডেস্ক 18 June, 2022 06:04 PM
পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিক বলেছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সম্ভবত ১শ’ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। যা হবে দু’দেশের মধ্যে একটি মাইলফলক।ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং করাচিতে ডেপুটি হাইকমিশনে এই মাইলফলক উদযাপন করা হবে। বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৯০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং এটি খুব দ্রুত গতিতে বেড়ে চলছে। বাংলাদেশে পাকিস্তানের রপ্তানি ৪৮ শতাংশ বেড়েছে, অপর দিকে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ১৪ শতাংশ যা একটি ভাল লক্ষণ।আগামী দিনগুলোতে ক্রমবর্ধমান এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। যা উভয় দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য খুবই উৎ্সাহজনক হবে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) করাচি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সফরকালে কেসিসিআই’র নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন ও অর্জনের কথা তুলে ধরে হাইকমিশনার আলম সিদ্দিক বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর তার নতুন দেশ অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। ঐ সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল শূন্য এবং দারিদ্র্যের হার ছিল ৮২ শতাংশ। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ তার রুপকল্প-২০২১ কর্মসূচির অধীনে অনেক লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং এখন দেশের মোট রপ্তানি ৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ পাট উৎপাদনে এক নম্বর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয়, মাছ রপ্তানিতে তৃতীয় এবং চাল ও টমেটো উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ দেশ। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব, সহনশীল মানুষ এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বিশ্বের একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে কেসিসিআই’র সাধারণ সম্পাদক বিএমজি একিউ খলিল বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তানকে শিক্ষা নিতে হবে। আমলাতান্ত্রিক বাধা পাকিস্তানের সবচেয়ে গুরুতর সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি ছিল। সুতরাং, আমাদের শিখতে হবে কীভাবে বাংলাদেশ আমলাতন্ত্রের সাথে মোকাবিলা করেছে এবং আমাদেরকে একই কৌশল অবলম্বন করতে হবে।’