| |
               

মূল পাতা জাতীয় সম্পর্কে গতি আনতে নতুন প্রস্তাব ওয়াশিংটনের


সম্পর্কে গতি আনতে নতুন প্রস্তাব ওয়াশিংটনের


রহমত ডেস্ক     18 May, 2022     10:35 PM    


পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হওয়া ডায়লগ, দুই দেশের আটকে থাকা ইস্যু ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়মিত মনিটরিং করার প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াশিংটন। আর ওয়াশিংটনের এ প্রস্তাব নীতিগতভাবে মেনে নিতে কোনো সমস্যা দেখছে না ঢাকা। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এটা প্রথম কল অন ছিল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। মূল আলোচনায় ছিল সামনে যে ‘ইকোনিামিক ডায়লগ’ আসছে। সেটার প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। আমাদের ডেলিগেশনে কারা থাকবেন। তারা তাদের প্রস্ততি কথা বলেছেন। বুধবার (১৮ মে) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাক্ষাতে আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এছাড়া ওনার দিক থেকে একটা প্রস্তাব আসছে। ইতোমধ্যে যে ডায়লগগুলো হয়েছে এবং সামনে যেসব ডায়লগ হবে সেগুলোর টাইম-টু-টাইম ফলো আপ করার একটা মেকানিজম বা দুই দেশের মধ্যে যেসব ইস্যুজ রয়েছে বা পেন্ডিং ইস্যুজগুলো বা চ্যালেজ্ঞগুলো নিয়ে আমরা একটা নিয়মিত মনিটরিংয়ের মেকানিজম করতে পারি বা করা যেতে পারে কিনা। সেটা তারা প্রস্তাব করেছে। এটা নিয়ে আমরা নীতিগতভাবে কোনো সমস্যা দেখি না। কারণ ডায়লগ করেই গেলাম এটার রেজাল্ট কি এলো সেটাও দেখা দরকার। এটা হয়তো জুলাই মাস থেকে আমরা করব। অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের আছে। জাপান বা অন্যান্য দেশের সঙ্গে আছে। এটা হলে বিভিন্ন ইস্যুজগুলোতে কোথায় কোথায় আটকে আছে, সেগুলো আমেরিকা না বাংলাদেশে সেটার বের করা যাবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিজনেস কমিউনিটির যে সমস্ত ইস্যুজগুলো রয়েছে, ওদের এখানে ইনভেস্টমেন্ট, আমাদের এখানে এক্সপোর্ট এ সমস্ত প্রাসঙ্গিক যত বিষয় আছে সবই থাকবে। তাদের যে সমস্যাগুলো তারা চিহ্নিত করেছে পাশাপাশি লেবার ইস্যুজ এবং ট্রের্ড ইউনিয়ন ইস্যুজ আছে সেগুলো হয়তো সাইড লাইনে আলোচনা হবে।যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিএসপি সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি ইকোনোমিক ডায়লগে তুলে ধরবে বাংলাদেশ। আজকের‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলাদা করে কোনো আলোচনা হয়নি। ইকোনোমিক ডায়লগে এটা আলোচনা হবে কিনা-এ স্টেজে আমি বলতে পারছি না। হযতো সাইড লাইনে উঠতে পারে। লিগ্যাল যে রিসোর্সগুলো আছে সেগুলো আমরা এক্সপ্লোর করছি এবং বেশ কিছু দূর এগিয়েছি। আমাদের প্রস্তুতি চলছে। ইইউর সঙ্গে আমরা নিয়মিত বসছি। তাছাড়া আমরা আইএলও’র সঙ্গে বসছি। আমরা একটা রোডম্যাপও দিয়েছি এবং আমাদের কিছু কমিটমেন্ট আছে। ২০২৩ পর্যন্ত আমরা ইনপ্লিমেন্ট করছি। সুতরাং আমরাও বসে নেই। পররাষ্ট্র, লেবার, বাণিজ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র সচিবরা টাইম টু টাইম এ ব্যাপারে বসছে। প্রাইভেট সেক্টর যারা স্টেক হোল্ডার আছে তাদের সঙ্গেও বসি। আমরা কাজ করছি।