| |
               

মূল পাতা জাতীয় এমডিজি অর্জন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


এমডিজি অর্জন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     18 May, 2022     07:53 PM    


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে এমডিজির লক্ষ্য অর্জন করে আমরা বিশ্বের কাছে সমাদৃত হয়েছি। এর আগে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাংলাদেশ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জন করেছে। এমডিজি অর্জন ছিল বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অতিদারিদ্র্য নিরসন ও ক্ষুধা নির্মূল, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ ও নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নতি, টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, বৈশ্বিক সম্পর্ক জোরদার ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস করে আমরা এমডিজি অর্জন করেছি।  বুধবার (১৮ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এসডিজির বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এসডিজির যে রিমার্কেবল অগ্রগতি হয়েছে, সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার পেয়েছেন। দারিদ্র নিরসন করে আমরা জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জন করেছি। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থাও বাংলাদেশকে ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। শিক্ষায় অগ্রগতির জন্যেও আমরা পুরস্কৃত হয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। এ জন্য সরকার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এসডিজির স্থানীয়করণ শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে ৪০টি অগ্রাধিকার সূচক অনুমোদন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এসডিজি স্থানীয়করণের একটি হাতিয়ার হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ নিশ্চিতকরণে একটি ডেল্টা প্লাটফর্ম চালু করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবহার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকের প্রবৃদ্ধিতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। সমাজের সর্বক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের উপরও নারীর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল। বাংলাদেশ তৃতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ এর মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে। বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখলে তার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা ইতিবাচক অর্থনীতি ধরে রেখেছি। মাথাপিছু আয় প্রমাণ করে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।