| |
               

মূল পাতা ইসলাম ‘আলেমদের সাংবিধানিক অধিকার হরণের অপচেষ্টা করছে’


‘আলেমদের সাংবিধানিক অধিকার হরণের অপচেষ্টা করছে’


রহমত ডেস্ক     18 May, 2022     07:42 PM    


ভুয়া, গণধিকৃত, ভুঁইফোড় গণকমিশন কর্তৃক দেশের ১১৬ শীর্ষস্থানীয় পীর-মাশায়েখ, আলেম ও জনপ্রিয় ইসলামী আলোচকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পিত অভিযোগে অভিযুক্ত করে তৈরিকৃত শ্বেতপত্র দুদকে হস্তান্তরের মতো ন্যাক্কারজনক অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ওয়ায়েজীন পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা  মুজিবুর রহমান চাটগামী সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।

আজ (১৮ মে) বুধবার জাতীয় ওয়ায়েজীন পরিষদ বাংলাদেশের এক জরুরি বৈঠকে তারা এ দাবি জানান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুজিবুর রহমান চাটগামী, মাওলানা আজহারুল ইসলাম আজমী, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম রাশেদী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান জিহাদী, মাওলানা আলী হায়দার গাজীপুরী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইয়াসিন আকরাম চৌধুরী, মাওলানা লুৎফুর রহমান মারুফ, মাওলানা জাহিদুল ইসলাম সাদী প্রমুখ।

তারা বলেন, দেশের সংবিধান, আইন-আদালত, বিচার বিভাগ, প্রশাসন সবকিছু থাকতে গণবিচ্ছিন্ন চিহ্নিত নাস্তিক্যবাদি শক্তির দোসররা শীর্ষ আলেম, পীর-মাশায়েখ ও ইসলামী আলোচকদের মানহানি করতে তাদের ভাষ্যমতে ধর্মব্যবসায়ী, মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি, ইত্যাদি নামে অভিহিত করেছে! যার কারণে রীতিমতো একদিকে সম্মিলিত ইসলামী শক্তি ও সর্বস্তরের মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে, অন্যদিকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ওলামায়ে কেরামের সম্মানহানি হয়েছে। যেসব মহান ব্যক্তিরা নিঃস্বার্থভাবে রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার নিয়ে তাদের সকল শ্রম-সময় ও ত্যাগের বিনিময় মানুষদের চির-কল্যাণকর ইসলামের পথে আহবান করার মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত শরয়ী দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তারা আরো বলেন, ওয়াজের মাধ্যমে সমাজের দুর্নীতি, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, নারীবিদ্বেষ, পরকীয়া, নেশা ও মাদকাসক্তি, সাম্প্রদায়িক মানসিকতা দূর করে মানুষকে দেশপ্রেম' শিক্ষার মাধ্যমে চির কল্যাণকর শান্তির ধর্ম ইসলামের ছায়াতলে আনয়ন করছেন। তাদের বিরুদ্ধে চরিত্রহীন, নির্লজ্জ, পরীক্ষিত ও চিহ্নিত অপশক্তির শ্বেতপত্র তৈরি গোটা জাতিকে হতবাক করেছে এবং এই অপকর্মের কারণে চিহ্নিত অপশক্তিটি ওলামায়ে কেরামের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে। আলেম-ওলামা ও দেশের কওমি মাদরাসার বিরুদ্ধে বিদ্বেষপ্রসূত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপকর্মের দোসরদেরকে অনতিবিলম্বে সংবিধান লংঘন, ইসলাম ও মুসলমানদের চরিত্রহননের দায়ে আইনের আশ্রয়ে এনে তাদের অসততা ও মিথ্যাচারের জন্য যথোপযুক্ত বিচারের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ, নাস্তিক্যবাদী এই অপশক্তিকে বিচারের আওতায় না আনলে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।