রহমত ডেস্ক 25 April, 2022 09:03 PM
বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে ‘টেকসই ও সবুজ ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট’ এর ওপর একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে। সমঝোতা স্মারকটি ২০৩০ এজেন্ডা ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর প্যারিস চুক্তি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন, পরিবেশগত ক্ষতি এবং জীববৈচিত্র হ্রাসের বিষয়গুলোর প্রতি আলোকপাত করেছে। একটি টেকসই ও সবুজ ভবিষ্যত গড়ে তোলার লক্ষ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনিময়ের ক্ষেত্রে প্রথম দেশ হিসেবে ডেনমার্ক বাংলাদেশের সাথে একটি কাঠামোতে সংযুক্ত হয়েছে।
আজ (২৫ এপ্রিল) সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী মোলার মর্টেনসেন এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। ডেনমার্কের সফররত যুবরানী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর, ড. মোমেনের সাথে ডেনমার্কের মন্ত্রীর দু’দেশের উন্নয়ন সহযোগিতা সম্পর্কিত বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়। ডেনমার্কের যুবরানী ম্যারী কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির ও সুন্দরবন এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা এলাকা পরিদর্শনের জন্য তিন দিনের সফরে আজ সকালে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর, যুবরানী গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। সফরকালে রাজকুমারী কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে একটি সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে কাজ করবে। এরপরে এটি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিয়ে একটি অ্যাকশন প্লানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো বহুমুখী করার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ আমাদের দু’দেশের অভিন্ন স্বার্থ সংরক্ষণের ইঙ্গিত বহন করে। সমঝোতা স্মারকটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের নিজস্ব অভিযোজন কৌশল, ড্যানিশ উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা ও তথ্য বিনিময়ে পরস্পরের মধ্যে একটি ঐক্য গড়ে তুলবে।
ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু এজেন্ডা বাস্তবায়নে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় এবং এ ব্যাপারে পরস্পরের মধ্যে সক্রিয় যোগাযোগ রয়েছে। আজকের এই গ্রিন ফ্রেমওয়ার্ক ডকুমেন্টে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হল যে, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তি ‘প্যারিস চুক্তিতে’ যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়নে প্রস্তুত।