| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের ফলপ্রসু নেতৃত্বের প্রশংসা’


‘বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের ফলপ্রসু নেতৃত্বের প্রশংসা’


রহমত ডেস্ক     25 February, 2022     07:26 PM    


জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ, তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখা ও ফলপ্রসু নেতৃত্ব প্রদানের ভূয়সী প্রশংসা করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি (পিজিএ) আব্দুল্লাহ শাহিদ বলেছেন, এ মূহুর্তে বাংলাদেশ ইউএন উইমেন নির্বাহি বোর্ডের সভাপতি, পিসবিল্ডিং কমিশনের চেয়ারম্যান এবং আইএমআরএফ’র কো-ফ্যাসিলেটেটর হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ প্রশংসা করেন। ‘এসডিজি বাস্তবায়ন রিভিউ’ সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন এবং সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন’র আওতাধীন উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থ, পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে দু’টি প্রস্তাব পেশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়াও কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় অধিকাংশ তহবিল ব্যবহৃত হওয়ায় তহবিল ঘাটতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, দ্বি-পাক্ষিক ওই বৈঠকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন করা হলে এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার পাশাপাশি কভিড সংক্রান্ত তহবিল ঘাটতি মোকাবিলায় ফলপ্রসু সমাধানের উপায়ের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন’র (এসএসসি) আওতায় মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম এসএসসি’র বিষয়ভিত্তিক আলোচনা আরো এগিয়ে নিতে চমৎকার প্লাটফর্ম তৈরি করবে।

ড. মোমেন এ সময় উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কোভিড’র মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তিনি কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন এবং কোভিড’র টিকাকে ‘সার্বজনীন বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসেবে ঘোষণার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বৃতিও উল্লেখ করেন। সাধারণ পরিষদের সভাপতি জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি, কোভিড মোকাবিলাসহ বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির প্রশংসা করার পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। এ বৈঠকে, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা শিশুদের নিজ ভাষায় শিক্ষাদান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোভিড ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার যেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে, তা তুলে ধরেন । এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত না যাওয়ায় উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি। সাধারণ পরিষদের সভাপতি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্যও বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।