মূল পাতা ইসলাম জুমার বয়ান ‘আমরা জানি না, প্রকৃত সফল এবং বুদ্ধিমান কারা’
রহমত ডেস্ক 21 January, 2022 04:20 PM
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী বলেছেন, পৃথিবীতে সবাই চায় সফল হতে, প্রত্যেকেই চায় বুদ্ধিমান হিসেবে নিজেকে জাহির করতে। অথচ আমরা জানি না, প্রকৃত সফল এবং বুদ্ধিমান কারা। যাদের অঢেল ধন সম্পদ আছে এবং ক্ষমতা আছে তাদের আমরা সফল ভাবি। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন, যে ব্যক্তি জানে যে, যা কিছু পালনকর্তার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অবর্তীর্ণ হয়েছে তা সত্য সে কি ঐ ব্যক্তির সমান, যে অন্ধ? তারাই বোঝে, যারা বোধশক্তি সম্পন্ন। আজ (২১ জানুয়ারি) শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জুমার খুতবা পূর্ব বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
পেশ ইমাম বলেন, আল্লাহ স্বীয় নবীকে বলেন , হে মুহাম্মদ যা কিছু পালনকর্তার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অবর্তীর্ণ হয়েছে বলে স্বীকার করে আর যে সত্য বলে স্বীকার করে না তারা কখনও সমান হতে পরে না। আল্লাহ তায়লা ঐ মহান ব্যক্তিদের প্রশংসনীয় গুনাবলি বর্ণনা করেছেন যারা আখেরাতে জান্নাতের মালিক হবেন এবং দুনিয়াতেও তারা উত্তম প্রতি দান পাবে। যারা আল্লাহর (সাথে কৃত) প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করে এবং অঙ্গীকার ভঙ্গ করে না। আর আল্লাহ যে সম্পর্ক বজায়া রাখতে আদেশ দিয়েছেন তা বজায়া রাখে এবং স্বীয় পালনকর্তাকে ভয় করে এবং কঠোর হিসাবের আশঙ্কা রাখে। এবং যারা স্বীয় পালনকর্তার সন্তুষ্টির জন্যে সবর করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে আর আমি তাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্য ব্যয় করে এবং যারা মন্দের বিপরীতে ভাল করে, তাদের জন্যে রয়েছে পরকালের জান্নাত। তা হচ্ছে বসবাসের বাগান। তাতে তারা প্রবেশ করবে এবং তাদের সৎকর্মশীল বাপ দাদা, স্বামী স্ত্রী ও সন্তান সন্ততি। ফেরেশতারা তাদের কাছে আসবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে। আর তারা বলতে থাকবে তোমাদের সবরের কারণে তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আর তোমাদের এ পরিণাম গৃহ কতই না চমৎকার। সূরা রদ (১৯-২৫)।
তিনি আরো বলেন, আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা কি জানো, আল্লাহর সৃষ্টিকূলের মধ্যে সর্বপ্রথম জান্নাতে কারা প্রবেশ করবে?’ সবাই বলল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ভালো জানেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর সৃষ্টিকূলের মধ্যে সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে দরিদ্র মুহাজিররা। যাদের মাধ্যমে সীমান্তের প্রহরা নিশ্চিত করা হয়। তাদের মাধ্যমে যেকোনো বিপদ আপদ দূর করা হয়। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন, ‘বরং তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকো। অথচ আখেরাতের জীবনই উত্তম ও অবিনশ্বর। নিশ্চয়ই এ কথা (শুধু কোরআনেই নয়) পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহেও বিদ্যমান আছে।’ সূরা আলা :১৬-১৮। আল্লাহ তায়লা আমাদেরকে এ সকল বিষয় গুলোর উপর আমল করার তৌফক দান করুন আমীন।