রহমত ডেস্ক 30 December, 2021 09:07 PM
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, অদ্ভুত ধরনের আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদ আছে। রাজনীতিকদের চেয়ে আমলাদের কর্তৃত্ববাদ বেশি। আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদের কারণে উন্নয়নের গতি থমকে যাচ্ছে। এ অঞ্চলে রাজনীতিকদের তুলনায় আমলারা অনেক বেশি কর্তৃত্ববাদী। আমাদের দেশেও আমলারা কর্তৃত্ববাদী। কেননা আমরা বিনিয়োগকারীদের জন্য ফুলের মালা আর দুধ নিয়ে বসে থাকি। তাদের আহ্বান জানাই দেশে এসে বিনিয়োগ করার জন্য। কিন্তু তারা যখন বিমানবন্দরে নামেন তখন হয়রানির শিকার হন। তারা চান দ্রুত ইমিগ্রেশন, লাগেজ যাতে দ্রুত পান। এসব কাজেই এখানে অনেক দেরি হয়। এছাড়া বিনিয়োগ করতে গিয়ে আমলাতন্ত্রের মধ্যে পড়ে যান। এরকম উদাহরণ আরও আছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের বলেন আসুন, বিনিয়োগ করুন। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা এসে আমলাতন্ত্রের কাছে মার খান।
আজ (৩০ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশে-ডিজেএফবি’র সেমিনার, প্রকাশনা ও বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য নিরসনে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আঞ্চলিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অর্থনীতি আছে। এজন্য আমাদের দক্ষতা ও শ্রমিকের মান বাড়াতে হবে। সবসময় বাজার নিয়ে কথা হয়। কিন্তু মাছের বাজার আর তেলের বাজার এক নয়। তেল অর্থাৎ জ্বালানি তেল ও অস্ত্রের বাজার বড় বাজার। এ বাজারের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি বা কম শুধু অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এটি আন্তর্জাতিক বিষয়ও। মার্কিন তেলের বাজার নিয়ে কিছু বলে না অথচ আমাদের মাছের বাজার ও কৃষি বাজার নিয়ে রেগুলেট করে।
ডিজেএফবির সভাপতি হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী। ‘এলডিডিসি উত্তরণ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, শরিফা বেগম এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বাকী।
ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে দুই ক্যাটাগরিতে চারজনকে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পত্রিকা ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে সময়ের আলোর এম আর মাসফি, বিজনেস পোস্টের রফিকুল ইসলাম। টেলিভিশন ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে এনটিভির হাসানুল শাওন এবং যমুনা টিভির তৌহিদ পাপন।