রহমত ডেস্ক 13 December, 2021 09:12 PM
বেশিরভাগ মানুষই দুধ গরম খেতে পছন্দ করেন। আবার কিছু মানুষ পছন্দ করেন ঠান্ডা দুধ। কিন্তু ঠান্ডা দুধ এবং গরম দুধের মধ্যে তফাতটা কোথায়?
এক গ্লাস দুধে আছে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন ১২, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, যা হাড়-দাঁত মজবুত করে। শক্ত করে পেশি। শরীরে পুষ্টি জুগিয়ে সুস্থ রাখে ওষুধ ছাড়াই।
এখন প্রশ্ন হলো, কোন দুধ খেলে বেশি উপকার ঠাণ্ডা না গরম। বিশেষ করে যাদের ল্যাকটোজ অ্যালার্জি আছে, তাদের কোন দুধ খাওয়া উপকারী।
তাহলে জেনে নিন কোন প্রকারের দুধ স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশি স্বাস্থ্যকর।
গরম দুধ কেন স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী?
গরম দুধের সবথেকে বড় উপকারিতা হল, গরম দুধ খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে, ভালো ঘুমের জন্য খুবই উপকারী গরম দুধ।
দুধ থেকে তৈরি খাবার যাদের হজম হয় না, তাদের খেতে হবে গরম দুধ। ঠাণ্ডা দুধ তুলনায় ভারী। হজম করা কষ্ট। আর গরম দুধে ল্যাক্টোজের পরিমাণ কম থাকে। তাই এই দুধ সহজে হজম হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকলে রাতে ঘুমনোর আগে প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন।
ঠান্ডা দুধ কেন স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী?
ঠান্ডা দুধেরও উপকারিতা অনেক। প্রচুর পরিমানে ক্যালশিয়াম থাকার জন্য সমস্ত অ্যাসিড শুষে নিয়ে বদহজম হওয়া থেকে মুক্তি দেয়। সকালে ঠান্ডা দুধ খেলে সারাদিন শরীর হাইড্রেট থাকে।
ঠাণ্ডা দুধ স্থূলতা কমায়। যারা গ্যাস্ট্রিক বা স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য ঠাণ্ডা দুধ ভীষণ উপকারী। এতে বুক ও পেট জ্বালাও কমে। তাই খাবার পর রোজ আধ গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ খান। ওষুধ ছাড়াই সমস্যা কমবে।
ঠাণ্ডা লাগার ধাত না থাকলে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ঠাণ্ডা দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে। তবে রাতে ভুলেও খাবেন না। এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
দুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা:
যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে, যাদের শরীরে 'ল্যাক্টেজ' (lactase) নামক এনজাইমের অভাব আছে, যাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশের আলসার তথা ডিউডেনাল আলসার আছে বা যাদের 'কোলেসিসটিটিস' (cholecystitis) তথা গলব্লাডারের সমস্যা আছে,যাদের পেটে অপারেশান করা হয়েছে, যাদের শরীরে আয়রন বা লোহার অভাব পূরণের জন্য নিয়মিত আয়রন ট্যাবলেট খাচ্ছেন,যারা লিড (lead) বা সিসা নিয়ে কাজ করেন, যারা পাকস্থলীর আলসার তথা গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগী, যারা প্যানক্রিয়েটিটিস (Pancreatitis) বা অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ রোগে আক্রান্ত, যাদের এলার্জি আছে তারা আবশ্যই চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই দুধ খাবেন।
দুধ এমনিতেই সুপারফুড। ঠান্ডা হোক কিংবা গরম, দু প্রকারের দুধেই প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। তবে, আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কোন দুধ বেশি উপকারী, তা চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই খান।
-বনি কেনেডি