রহমত ডেস্ক 06 December, 2021 08:59 PM
একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সোনালি অধ্যায় ছিল বঙ্গবন্ধুর সময় এবং সেটিকে আরও বেশি এগিয়ে নিয়ে গেছেন যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসেন। দুই দেশের সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক এই অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিলিত উন্নতি দুই দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে ।
আজ (৬ ডিসেম্বর) সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত। স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশটি হচ্ছে ভুটান।
বিশ্বাস, সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত জানিয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দুই দেশ বিভিন্ন বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছে। স্থল সীমানা নির্ধারণ, সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ, গঙ্গা পানি চুক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় সম্পন্ন হয়েছে, তিস্তাসহ আরও কিছু বিষয় এখনও অনিষ্পন্ন রয়েছে, যেগুলো আমি আশা করি, সদিচ্ছার ভিত্তিতে আমরা নিষ্পন্ন করতে পারবো। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বাংলাদেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, গত ২১ নভেম্বর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও তিন বাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।যৌথভাবে ১৮টি দেশে মৈত্রী দিবস উদযাপন করা হচ্ছে ।
তিনি আরো বলেন, ‘৯৭২ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে প্রায় এক কোটি শরণার্থী তাদের স্বাধীন দেশে ফিরেছিল। মুক্তিবাহিনীকে সমর্থনকারী ভারতীয় বাহিনীকে স্বাধীনতার তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছিল, এটিও প্রকৃতপক্ষে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। আগামী ৫০ বছরে আমাদের বন্ধুত্বের ভিত্তি এবং আমাদের ইতিহাসকে একসঙ্গে গড়ে তোলার জন্য আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। আমাদের এখন নিশ্চিত করতে হবে যে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই ইতিহাস যেন বুঝতে পারে।’ কারণ আজকের তরুণরাই এই অংশীদারিত্বকে অপরিবর্তনীয় করে তুলতে পারবে।