রহমত ডেস্ক 06 December, 2021 04:31 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন, সুচিকিৎসার আন্দোলন দুর্বার হয়ে উঠেছে। আ’লীগ সরকার তা সহ্য করতে পারছে না। যার কারণে আমাদের দৃষ্টিকে, আমাদের কথাবার্তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য জিয়া পরিবারকে নিয়ে কথা বলছে। এরা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরাতে চায়। আমাদের কথা পরিষ্কার, আমাদের দৃষ্টি এক দিকে। তা হচ্ছে দেশনেত্রীর মুক্তি, সুচিকিৎসা। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার দুই-তিনদিন হাসপাতালে দেখা হয়েছে। হাতের ইশারায় কথা হয়েছে। উনি ভালো অবস্থায় নেই।
আজ (৬ ডিসেম্বর) সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, সাবেক জনপ্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, শাহে আলম, আবু সাইদ চাঁন, দেওয়ান শফিকুজ্জামান, তমিজ উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, দিলদার হোসেন, জাফর ইকবাল হিরণ, আমিনুল ইসলাম বাদশা, সরকার বাদল, মোর্শেদ মিল্টন, মশিউর রহমান, নবী নেওয়াজ খান প্রমুখ।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা একের পর এক কথা বলে জনমত সৃষ্টি করছি। জনমত প্রচণ্ডভাবে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। তারপরও আমরা কেন কিছু করতে পারবো না? আমাদের অনেক কিছু করার আছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদেরকে অনেক দিয়েছেন। তার পতাকা নিয়ে, তার নাম নিয়ে আমরা নির্বাচনে পাস করেছি। তিনি আমাদেরকে বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন, পার্লামেন্টারি সিস্টেম দিয়েছেন, মানুষের কথা বলার অধিকার দিয়েছেন, এই দেশের উন্নয়নে কাজ করেছেন। আমরা ব্যক্তিগতভাবে তার কাছ থেকে উপকৃত হয়েছি, এমপি-মন্ত্রী হয়েছি। এখন আমাদের দেওয়ার পালা।
দলের কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আপনারা অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আবেগ নিয়ে এখানে এসেছেন। যে আবেগ প্রকাশ করেছেন, সেই আবেগকে আগুনে রূপান্তরিত করতে হবে। একবার আমি বলেছিলাম, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মতোই আচরণ আশা করে। কিন্তু এই আচরণটা খালেদা জিয়া পায়নি। কথা বলার পরে আমার পাশ থেকে একজন বললো, ‘ভাই আপনার কথা একটু কারেকশন করতে হবে।’ আমি বললাম সেটা কী? তিনি বললেন, ‘উনি (শেখ হাসিনা) অবৈধ প্রধানমন্ত্রী আর যে সাবেক সে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং আচরণ এক রকম পাবেন না।’ এ কথাটা আমার কাছে খুবই যৌক্তিক মনে হলো।