বাস-লঞ্চের ভাড়া কমাতে হবে : ন্যাপ

এক লাফে  লিটার প্রতি ১৫ টাকা জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে দেশবাসী বিশেষ করে গরিব ও সাধারণ মানুষ হতবাক। গত বুধবার রাতে দাম বাড়ানোর পরে শুক্রবার থেকে গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত অঘোষিত ধর্মঘটে মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি সামাল না দিতেই  জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো প্রভাব পড়েছে। ফলে কৃষকদের উৎপাদন ব্যয়, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে।

সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় শাহবাগ চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব দাবি তোলেন।

তারা বলেন, গত ৭ বছরে বিপিসি ৪৩ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা লাভ করেছে। জ্বালানি তেলের দাম না বাড়িয়ে ভর্তুকি দিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণে অথবা আমদানিতে ৩৪ শতাংশ করভার সাময়িক সময়ের জন্য মওকুফ করে জ্বালানি দাম স্থিতিশীল রাখা যেত। আমাদের দাবি জনস্বার্থে ডিজেল কেরোসিনের উপর ভর্তুকি দাও। বাস লঞ্চের ভাড়া কমাও। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখ।

নেতৃবৃন্দ বলছে, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ। অথচ বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ এবং লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। দেশবাসী জানতে চায় জনসাধারণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কার স্বার্থে, কোন গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দাম বাড়ানো হলো?

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ন্যাপ সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও প্রবীণ নেতা অ্যাডভোকেট এমএ ওহাব। সঞ্চালনা করেন হাসান কমরুন।  বক্তব্য রাখেন, ন্যাপ নেতা পরিতোষ দেবনাথ, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, মোস্তফা মাহমুদ, নাসিমা হক রুবি, সৈয়দ গোলাম নবী মিঠু, মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন দিপালী খন্দকার, মাহবুব আলম, সোহেল উদ্দিন তালুকদার টুটুল, গোলাম মাওলা, শুকুর ভান্ডারী প্রমুখ। (প্রেসবিজ্ঞপ্তি)

/জেআর/