রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক 17 July, 2021 02:48 PM
গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালির নেওয়া টাকার সন্ধান মিলছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালি গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অগ্রীম যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে, তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তারা মানুষের কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে এবং তাদের সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে, তার মোট অঙ্ক প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে তাদের কাছে সেই টাকার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।’
‘তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করে।’
তদন্ত শেষে গ্রাহকদের ও সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে নেওয়া টাকার খুব সামান্য অংশের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
‘সেজন্যই প্রশ্ন উঠেছে যে এই বিশাল দায় কীভাবে তারা শোধ করবে?’
ইভ্যালি এর মধ্যে যে পরিমাণ টাকা গ্রাহক ও ব্যবসায়িক পার্টনারদের কাছ থেকে নিয়েছে, তা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
‘তাদের ফান্ড কোথায় রেখেছে, অন্য কোনো উৎস আছে কিনা, সেটা তদন্তের পর জানা যাবে। তবে এখন সেই পরিমাণ টাকার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।’
গ্রাহকদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, ইভ্যালির সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া মিলছে না এবং তারা প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় বন্ধ পাচ্ছেন।
রুবাইয়াত হাসান নামের একজন গ্রাহক জানান, মে মাসের শেষদিকে একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিতে প্রায় তিন লাখ টাকা দেন। প্রতিশ্রুতি মত ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ায় ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ার নম্বরে যোগাযোগ করেও সাড়া পাননি।
তবে ইভ্যালির মুখপাত্র শবনম ফারিয়া জানান, তাদের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস এখনো ২৪ ঘণ্টা চালু আছে।
ফারিয়া বলেন, ‘লকডাউন থাকার কারণে আমাদের অফিসে কেউ যাচ্ছে না, আমরা হোম অফিস করছি। কিন্তু আমাদের ডেলিভারি চালু আছে এবং কাস্টমার কেয়ার ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে।’
/জেআর/