নাজমুল হাসান 14 February, 2021 03:16 PM
জীবনের প্রথম বিদেশ ভ্রমণ। প্রথমে প্ল্যান করেছি দুবাই যাব। পরে কোনো এক অদৃশ্য কারণে দুবাই হয়ে গেলো তুরস্ক, ইস্তানবুল। প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি, তাই খুবই চিন্তায় ছিলাম ছুটি নিয়ে। শেষমেষ যে কোনোভাবে ছুটির ব্যবস্থা করলাম। ভিসার জন্য ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এজেন্সিকে দিই। ভিসার জন্য এম্বাসিতে যেতে হয়নি।
আমি ১৫ দিনের ভিসা পাই। তারকিশ এয়ারলাইনসে টিকেট কাটি। সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো- জীবনের প্রথম ফ্লাইট ছিলো এক টানা ৯ ঘণ্টার! যাই হোক, তারকিশ এয়ারলাইনসে করে গেলাম ইস্তানবুল। ইস্তাম্বুলের যে অংশ ইউরোপে পড়ছে সেখানে হোটেল খরচ একটু বেশি, তাই আমি ইস্তানবুলের এশিয়া অংশের একটি হোটেলে উঠি। হোটেলের নাম টাইটানিক ৩* হোটেল। সেখানকার সকালের নাস্তাটা অনেক ভালো। ১৩০ আইটেমের উপরে বাফেট নাস্তা।
মজার ব্যপার ছিল- ইস্তাম্বুলে সকাল হয় ৯টায়। মানুষ সকালের আলো ফোটার আগে বাসা থেকে বের হওয়া শুরু করে। তাই আমরাও ৮টা থেকে ১০টা- ২ ঘণ্টা নাস্তা করে কাটিয়ে দিলাম। এরপর বেরিয়ে পড়লাম।
কোন দিন কই গেলাম-
প্রথম দিন সুলতান সুলেইমান মসজিদ, জাদুঘর এবং শহরটা ঘুরে দেখলাম। ২য় দিন চলে গেলাম প্রিন্সেস আইস ল্যান্ড। অনেক সুন্দর একটি জায়গা। ঘোড়ার গাড়ি আর সাইকেল ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি চলে না সেখানে। সেদিন রাতের খাবার সারলাম প্রমোদতরীতে, সাথে ছিল অ্যারাবিয়ান ডান্স। ৩য় দিন চলে গেলাম বসরা, সেখানে গিয়ে কেবল কারে করে পাহাড়ের চূড়ায় উঠলাম। ভীষণ সুন্দর স্নোফল দেখলাম সাথে ছিলো আইস এক্টিভিটি। ৪র্থ দিন গেলাম তাদের বিখ্যাত মার্কেট গ্রান্ড বাজারে। শত শত অলি-গলি। হাজার হাজার দোকানের ভিড়ে মনে হচ্ছিলো, হারিয়ে গেলাম না-কি!
শপিং শেষে হোটেলে ফিরে তৈরি হয়ে বিমানের উদ্দেশে বের হয়ে গেলাম। ঢাকায় আসলাম সকাল ৭টায়, সেখান থেকে সরাসরি অফিসে, সারা দিন অফিস করে সন্ধ্যা ৬ টায় বাসায় ফিরলাম।
শেষ কথা
ইস্তাম্বুল গেলে অবশ্যই কাবাব খাবেন এবং ওদের এক ধরনের বাদামের চকলেট আছে ওটা নিয়ে আসবেন। ইস্তাম্বুল শহরটা অনেক পরিস্কার এবং পরিচ্ছন্ন শহর। দেখে আক্ষেপ হলো ‘ইশ! আমাদের দেশটা যদি এমন পরিষ্কার হতো!’
-জেড