| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতির পরপর আবারও তীব্র লড়াইয়ে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান


দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতির পরপর আবারও তীব্র লড়াইয়ে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     20 October, 2020     11:18 AM    


রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতির পরপরই আবারও তীব্র লড়াইয়ে জড়িয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়া-আজারবাইজান। ফলে দ্বিতীয়বারও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা গেল না নাগর্নো-কারাবাখে।

জানা গেছে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সেনারা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। গোলাবর্ষণে ক্ষতি হয়েছে একের পর এক শহরের। মৃত্যু হয়েছে কয়েক শ’ মানুষের। ঘটনায় ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া এবং জাতিসঙ্ঘ।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় লিখিত বিবৃতিতে দাবি করেছে, চুক্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া আজারবাইজানের বেশ কয়েকটি শহরে গোলাবর্ষণ শুরু করে। রোববার সারা রাত ধরেই গোলাবর্ষণ করে ধ্বংস করা হয় শহরগুলো। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হলো টারটার, আঘজাবেদি, আঘদাম।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ জানান, অন্যায়ভাবে আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। একের পর এক শহরে গোলাবর্ষণের পরে আজারবাইজানও তার উত্তর দিতে বাধ্য হয়েছে।

এ দিকে আর্মেনিয়ার অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে আজারবাইজান। নাগর্নো-কারাবাখের যোদ্ধাদের দাবি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কারাবাখের মারতুনি এবং আরো চারটি গ্রামে গোলাবর্ষণ শুরু করে আজেরি সেনা। আর্মেনিয়ার সেনা কারাবাখের যোদ্ধাদের মদত দিচ্ছে।

যোদ্ধাদের সমর্থন করে আর্মেনিয়ার সেনা জানিয়েছে, আজেরি বাহিনী হামলা চালানোর পর 'সমান' জবাব দেওয়া হয়েছে আজারবাইজানকে। আজারবাইজান জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত নাগর্নো-কারাবাখের ১৬টি এলাকা তাদের সেনা দখল করতে পেরেছে। আর্মেনিয়া অবশ্য আজেরি সেনার এই দাবি মানতে রাজি হয়নি।

প্রসঙ্গত, যুদ্ধে তুরস্ক আজারবাইজানকে সম্পূর্ণ সাহায্য দিচ্ছে। অন্য দিকে আর্মেনিয়াকে সাহায্য করার চুক্তিতে আবদ্ধ রাশিয়া। সুতরাং এ যুদ্ধ কি শেষ পর্যন্ত বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে?
-জেড