রহমত নিউজ 31 December, 2024 02:15 PM
থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি, ফানুস উড়ানো বন্ধে সন্ধ্যার পর থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে পরিবেশ অধিদফতর।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে সিনেট ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে স্ক্রল দিতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, আজকে যেন কোনো আতশবাজি, পটকা না ফোটানো হয়। আজকে সন্ধ্যার পর থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমরা গাছ সুরক্ষা আইনের জন্যে একটি আইন করছি। এই আইনের মধ্যে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন বন্ধ করার একটি আইন সংযোগ করা হবে। এটা আইনি বিধান অনুযায়ী যখন আসবে তখন এতে শাস্তির বিধানও চলে আসবে বলে জানান তিনি।
এর আগে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্তের কথা জানায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর কারণে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ হয়। অতিরিক্ত শব্দদূষণে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও মানসিক চাপের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া, ফানুস উড়ানোর ফলে অগ্নিকাণ্ড ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী এসব কার্যক্রম দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রথমবার আইন লঙ্ঘনে ১ মাসের জেল বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। পুনরায় অপরাধ করলে ৬ মাসের জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
এর আগে গতকাল সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) একটি পথ সভায় থার্টি ফাস্ট নাইটে শব্দদূষণ বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি তুলে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।
পথ সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিবছরই সরকারের পক্ষ থেকে, ডিএমপির পক্ষ থেকে আতশবাজি, ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় কিন্তু তারপরেও বন্ধ হচ্ছে না এই বিকৃত ও প্রাণনাশা আনন্দোৎসব। দায়সারা বিজ্ঞাপন ও কাগুজে বিধিমালার মাধ্যমে এসব থামানো যাবে না। আতশবাজি, ফানুস ওড়ানো, উচ্চ শব্দে ডিজে গান বাজানো, মদপান করে মাতাল হয়ে দিগবিদিক গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যা বন্ধে সরকারকে অবশ্যই আন্তরিক হতে হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০ টা থেকে শেষ প্রহর পর্যন্ত সারা ঢাকা শহর প্রয়োজনে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে যাতে কোথাও এ ধরনের কোন ঘটনা না ঘটে।