| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল থার্টি ফাস্ট নাইটে শব্দদূষণ বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি খেলাফত আন্দোলনের


থার্টি ফাস্ট নাইটে শব্দদূষণ বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি খেলাফত আন্দোলনের


রহমত নিউজ     30 December, 2024     07:05 PM    


ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের নামে ফানুস উড়ানো, আতশবাজি, ডিজে পার্টির মাধ্যমে ব্যাপক শব্দদূষণ, শিশু-বৃদ্ধ-অসুস্থ রোগীদের জন্য আতংক সৃষ্টি বন্ধে থার্টি ফাস্ট নাইটে রাত ১০ টা থেকে শেষ প্রহর পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বাদ আসর রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন আয়োজিত এক জনসচেতনতামূলক পথসভায় বক্তব্য প্রদানকালে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান। বর্ষবরণের নামে শব্দদূষণ, জানমালের ক্ষতি, মদ্যপান, বিকৃত আনন্দোৎসব বন্ধ, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা - ২০০৬ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের দাবীতে এই পথসভায় আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী।

অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সুলতান মহিউদ্দীন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মোফাচ্ছির হোসাইন, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান কাসেমী, মাস্টার শরীফুল ইসলাম প্রমূখ। 

পথসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বছর দুয়েক আগে বর্ষবরণের আতশবাজির শব্দে মোহাম্মাদপুরে তানজিম উমায়ের নামে ৪ মাস বয়সী একটি শিশু মারা গিয়েছে। কামরাঙ্গীরচরে বাসার ছাদে ফানুস ওড়াতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিল ১৪ বছর বয়সী কিশোর সিয়াম। কথিত থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে গিয়ে বিদ্যূতস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিল গাজীপুরে ১৭ বছর বয়সী কিশোর মিরাজ হোসেন। আতশবাজি ও ফানুস উড়ানোর ফলে শব্দ ও বায়ূদূষণে মারা গিয়েছিল অগণিত পাখি। মানুষের প্রাণ, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের এত ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পরেও বন্ধ হচ্ছে না এই ধ্বংসাত্মক সংস্কৃতি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবছরই সরকারের পক্ষ থেকে, ডিএমপির পক্ষ থেকে আতশবাজি, ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় কিন্তু তারপরেও বন্ধ হচ্ছে না এই বিকৃত ও প্রাণনাশা আনন্দোৎসব। দায়সারা বিজ্ঞাপন ও কাগুজে বিধিমালার মাধ্যমে এসব থামানো যাবে না। আতশবাজি, ফানুস ওড়ানো, উচ্চ শব্দে ডিজে গান বাজানো, মদপান করে মাতাল হয়ে দিগবিদিক গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যা বন্ধে  সরকারকে  অবশ্যই আন্তরিক হতে হবে এবং  ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০ টা থেকে শেষ প্রহর পর্যন্ত সারা ঢাকা শহর প্রয়োজনে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে যাতে কোথাও এ ধরনের কোন ঘটনা না ঘটে।