| |
               

মূল পাতা জাতীয় কোটা আন্দোলন নিয়ে কথা বলায় চাকরি হারালেন ইমাম!


কোটা আন্দোলন নিয়ে কথা বলায় চাকরি হারালেন ইমাম!


রহমত নিউজ     27 July, 2024     04:56 PM    


ঢাকার কেরানীগঞ্জে মসজিদে জুমার বয়ানে কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিষয় কথা বলায় মসজিদের ইমাম চাকরি হারিয়েছেন বলে  খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) উপজেলার ইস্পাহানি জামে মসজিদে জুমারনামাজে ইমামে পরিবর্তে মুয়াজ্জিন নামাজ পড়াতে আসলে স্থানীয় মুসল্লিরা মসজিদের দায়িত্বরত ইমাম দিয়ে নামাজের দাবি তোলেন। পরে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মসজিদে উপস্থিত মুসল্লীদের ওই ইমামকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানান।

স্থানীয়রা জানান, ১৯ জুলাই ইস্পাহানি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা গিয়াস উদ্দিন মামুন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিষয় ছাত্রদের বাস্তব দৃশ্যপটে তোলে ধরেন এবং সমাজ ও রাষ্ট্রকে ছাত্রদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। তিনি ইসলামের ইতিহাস ও বাংলাদেশ বর্তমান চিত্র তুলে ধরে থাকেন বয়ানে। কিন্তু হঠাৎ করে গত বুধবার এশার নামাজের পর মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চাকরিচ্যুত করেন মাওলানা গিয়াস উদ্দিন মামুনকে। পরে ২৬ জুলাই মসজিদ কমিটি জুমার নামাজ মুয়াজ্জিন দিয়ে পড়াতে গিয়ে মসজিদ ভিতরে কথাকাটি ও হুড়াহুড়ি শুরু হয়। এসময় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করেন।

ইস্পাহানি জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান জানান, ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে ১৯ জুলাই জুমায় 'উস্কানিমূলক' কথা বলাতে মসজিদ কমিটি বসে ইমাম গিয়াস উদ্দিনকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। ইসলামে কোথাও কোটাবিরোধী আন্দোলনের কথা নেই। ইমাম গিয়াস উদ্দিন সমাজ ও রাষ্ট্রকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো। সমাজ ও রাষ্ট্রকে অপমান করায় ইমামকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান।

চাকুরিচ্যুত ইমাম গিয়াস উদ্দিন মামুন মুঠোফোনে বলেন, আমি প্রতি শুক্রবারের মতোই গত ১৯ জুলাই জুমার বয়ানে আল্লাহ রসুল ও হাদিস অনুযায়ী কথা বলেছি। বাংলাদেশের ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলন বর্তমান দৃশ্যপটে কথা বলার কারণে মসজিদ কমিটি হঠাৎ করে গত বুধবার আমাকে আর মসজিদ না আসার জন্য বলে এবং চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানান।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ইমামকে বিদায় দেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। পরবর্তী ঘটনা জানা নাই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রিয়াদ বলেন, বিষয়টি মাত্রই শুনলাম। আমি মসজিদ কমিটির সঙ্গে কথা বলব। ঘটনাটি আমি যাচাই করব। ইমাম সাহেবকে যদি অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ইমাম সাহেবকে পুনর্বহাল করা হবে।

সূত্র, যায়যায়দিন