| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে কাশ্মিরিদের কালো দিবস পালন


ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে কাশ্মিরিদের কালো দিবস পালন


শেখ আশরাফুল ইসলাম     27 October, 2025     02:14 PM    


ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুত্বে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে সমগ্র বিশ্বে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই পাশে “কালো দিবস” পালন করছে কাশি কাশ্মিরের মানুষ। তারা চায়, ভারতের অবৈধ দখলদারিত্বের ফলে কাশ্মিরে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা বিশ্ববাসীকে জানাতে।

১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর ভারতীয় সেনারা জম্মু ও কাশ্মিরে প্রবেশ করে অঞ্চলটি দখল করে নেয়। এটি ছিল উপমহাদেশ বিভাজন পরিকল্পনার স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং কাশ্মিরিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটি পদক্ষেপ।

কাশ্মিরের জনগণকে আজ কালো দিবস পালন করার আহ্বান জানিয়েছে “অল পার্টিজ হুররিয়াত কনফারেন্স”। তারা আহ্বান জানিয়েছে, এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মহরের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। যেন আন্তর্জাতিক সমাজ কাশ্মির সমস্যা দ্রুত সমাধানের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারে।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বার্তা : 

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, পাকিস্তান কাশ্মিরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের ন্যায্য সংগ্রামে সবসময় তাদের পাশে আছে। ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে কালো দিনগুলোর একটি, যেদিন ভারতীয় সেনারা অবৈধভাবে জম্মু ও কাশ্মিরে প্রবেশ করে এবং দখল শুরু করে, যা এখনো চলমান।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ভারত এখনো কাশ্মিরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি ভারতের কঠোর আইন, কাশ্মিরি নেতাদের কারাবন্দি করা, চলাচল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার নিন্দা জানান।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সবসময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাশ্মিরি ভাই-বোনদের ওপর হওয়া নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরেছে এবং তাদের স্বাধীনতার দাবিতে সমর্থন জানিয়েছে। শাহবাজ শরিফ আশ্বাস দিয়ে বলেন, কাশ্মিরিরা তাদের ন্যায্য সংগ্রামে একা নয়, ২৪ কোটি পাকিস্তানি তাদের পাশে দৃঢ়ভাবে রয়েছে।

পাক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কাশ্মিরিরা দখলের অধীনে অমানবিক নির্যাতন, সহিংসতা ও মৌলিক অধিকারের বঞ্চনা সহ্য করে আসছে।

তিনি ভারতের ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের একতরফা ও অবৈধ সিদ্ধান্তেরও নিন্দা জানান, যেই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কাশ্মিরের জনসংখ্যাগত কাঠামো পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়।

তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান, যেন ভারতকে তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি করা হয় এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হয়।

সূত্র : আরিয়ানা নিউজ