| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা: মাওলানা ইমতিয়াজ আলম


দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা: মাওলানা ইমতিয়াজ আলম


রহমত নিউজ     24 November, 2024     10:52 PM    


ইসলামী আন্দোলণ বাংলাদেশের সহকারি মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। কঠোর হাতে সিন্ডিকেটকে ভাঙতে ব্যর্থ হলে সরকারের বিরম্নদ্ধে জনমত চলে যাবে।তিনি বলেন, দেশময় নতুন করে চাঁদাবাজি শুরম্ন হয়েছে। এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ছাত্র-জনতার গণবিপস্নবকে চাঁদাবাজদের কারণে নস্যাৎ হতে দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, দেশে জাতীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে দলীয় চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের রম্নখে দিতে হবে। এজন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চায় দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে এককভাবে কোন দল সরকার গঠন করতে পারবে না এবং সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের অভয়ারণ্যেও দেশ পরিণত হবে না।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা শাখা আয়োজিত সেনবাগ মডেল স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জয়েণ্ট সেক্রেটারী জেনারেল মুফতি মো¯ত্মফা কামাল, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, মাস্টার নেয়ামতুলস্নাহ, মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকী, মাওলানা নুরম্নল ইসলাম, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, যুবনেতা মোরশেদ আলম, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রহিম বশির। সেনবাগ উপজেলা শাখা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা নিজামুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, আওয়ামী শাসনামলে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এই পাচারকৃত টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগে নিতে হবে। সেইসাথে দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতামকর্মীদের বাসায় অভিযান চালিয়ে টাকা উদ্ধার করতে হবে। বিগত ১৬ বছরে দেশের সব টাকা আওয়ামীদের হাতে। যা আমু সাহেবের টাকার জাজিম দেখলেই বুঝা যায়।  তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা এই দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, শেখ হাসিনার আমলে এস আলম গ্রুপ একাই ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। সাত বিলিয়ন তাঁর আরও ঘনিষ্ঠজনেরা পাচার করেছেন। ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পাচার হয়েছে। এই দেশের অর্থনীতির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ১০০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হলে আর কী থাকে। জমি দখল, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল, উন্নয়নের নামে লুটপাট, বিদেশে টাকা পাচার এই ছিল ফ্যাসিস্ট সরকার।