মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব ওমানসহ মোট ৩৮ দেশে আফগান দূতাবাস চালু
মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক 18 September, 2024 07:13 AM
২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবান সরকার আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত মোট ৩৮ টি দেশে আফগান দূতাবাস ও কনস্যূলার সেবা চালু হয়েছে। চালু হওয়া দূতাবাসগুলোর তালিকায় সর্বশেষ সংযোজিত হয়েছে উপসাগরীয় দেশ ওমানের আফগান দূতাবাস। ওমানের রাজধানী মাসকাটে গত রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪) থেকে দূতাবাসের নিয়মিত কার্যক্রম চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমূখপাত্র হাফিজ জিয়া আহমাদ তাকাল।
গতকাল (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে জিয়া আহমাদ তাকাল লিখেছেন, “ইমারতে ইসলামী আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত কূটনীতিকদের মাধ্যমে ওমানের রাজধানী মাসকাটে আফগান দূতাবাসের নিয়মিত কার্যক্রম চালু হয়েছে।”
স্বাগতিক দেশটির (ওমান) সহযোগিতা এবং কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে আফগান দূতাবাস কাবুল ও মাসকাটের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক মজবুত করতে গঠনমূলক ভুমিকা পালন করবে বলেও জানান তিনি।
জিয়া আহমাদ আরও জানান, দূতাবাস চালুর ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ইমারতে ইসলামী আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ।
د عمان سلطنت پلازمېنه مسقط کې د افغان سفارت چاري د اسلامي امارت د بهرنیو چارو وزارت د ډیپلوماتانو له لوري په منظم ډول ترسره کیږي اوټولو ته خبر ورکول کېږي چې یادسفارت د افغانستان اوعمان دوګړو لپاره د۱۴۴۶/۳/۵ نېټې دیکشنبې له ورځې څخه خپل فعالیتونه اوخدمتونه په عادي ډول پیل کړي دي. pic.twitter.com/OFpaio89UV
— Hafiz Zia Ahmad (@HafizZiaAhmad) September 17, 2024
আফগান রাজনৈতিকরা মনে করেন মুসলিম দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপন ইমারতে ইসলামীর সাথে অন্যান্য দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রেও ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে পারে।
সালিম পাইগির নামে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক আফগান গণমাধ্যম তোলো নিউজকে জানান, “ওমান পশ্চিমা দেশুগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ দেশসমূহের অন্যতম। দেশটি পশ্চিমা দেশসমূহ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইমারতে ইসলামী আফগানিস্তানের সম্পর্কের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক ভুমিকা রাখতে পারে।”
মঈন গুল সামকানী নামে আরেকজন বিশ্লেষক বলেন, “আমরা যদি বাইরের দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ হই তাহলে তা আফগানিস্থানের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের দিকে ধাবিত করতে এবং পশ্চিমা বিশ্ব ও আফগানিস্তানের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।”