| |
               

মূল পাতা জাতীয় বুদ্ধিদীপ্ত তরুণদের কাজে লাগাতে চান সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা


বুদ্ধিদীপ্ত তরুণদের কাজে লাগাতে চান সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা


রহমত নিউজ     19 August, 2024     09:24 AM    


সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, উচ্ছৃঙ্খলার শৃঙ্খল ভেঙে শৃঙ্খল হতে হবে। এখানে দুর্নীতিমুক্ত জায়গা তৈরি করতে চাই। এখান থেকে শুরু করতে চাই। এ জন্য মেধাকে আমরা পুঁজি করবো। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হবে মেধার ভিত্তিতে। এ কাজে আমাদের বুদ্ধিদীপ্ত তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। ‘মেধা, বিজ্ঞান ও যুক্তি, এতেই জাতির মুক্তি’ এই প্রত্যয় নিয়ে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজ ও দেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে সমাজ সংস্কার করতে হবে, নতুন সমাজ গড়তে হবে। এ জন্য মন্ত্রণালয়ে কোনো দলীয়করণ চলবে না। কোনো দলের জন্য কাজ করতে আসিনি। আমরা মনুষ্যত্বের জন্য কাজ করতে এসেছি।

রোববার (১৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাসিক সমন্বয় সভায় সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ভালো কাজ করতে হলে নৈতিক জায়গায় আরও মনোযোগী হতে হবে জানিয়ে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে। নিয়মানুবর্তিতার বাইরে কেউ যাবেন না। নিয়মানুবর্তিতা লঙ্ঘন করলে আপনাদের কথা শুনবো না। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। এই বিশ্বাস গড়ে তুলতে পারলে অনিশ্চয়তাকে অনেকাংশেই জয় করা সম্ভব। সার্বিক উন্নয়নরে জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া অবশ্যই জরুরি। পারস্পরিক বোঝাপড়া ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব না।

অন্যের ভালো কাজে অভিনন্দন জানানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশংসা করুন। এতে করে আশপাশের মানুষের মাঝে আপনার সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। আপনি কী করছেন, কী ভাবছেন আপনার কর্মক্ষেত্রকে নিয়ে? সর্বোপরি ভালো কিছু করার চর্চা দেখতে চাই। শুধু মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের কথা ভাবলে হবে না, দেশের কথা ভাবতে হবে। পাশাপাশি শুধু নিজের কথা নয় মন্ত্রণালয়ের কথাও ভাবতে হবে, কাজ করতে হবে।

লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া পরিহার করে সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে বলেন, একই দপ্তরে কাউকে দীর্ঘদিন রাখলে কাজের প্রতি অনীহা জন্মায়, সেক্ষেত্রে বিধিমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাষ্ট্র, সংবিধান, মন্ত্রণালয়ের বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।