রহমত নিউজ 19 August, 2024 10:17 AM
অজানা রোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মার চরে গত দুই মাসে মারা গেছে ৪০০ এর বেশি গরু। আক্রান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই মারা যাচ্ছে এসব গবাদি পশু। অভিযোগ, শত শত গরু মারা গেলেও চিকিৎসা দিতে চরে যান না সরকারি পশু হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
দক্ষিণ উজিরপুর গ্রামের গরুর খামারি শহিদুল ইসলাম জানান, গত দুই মাসে অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫০টা গরুর মধ্যে আমার ১৩ টি গরু মারা গেছে। অসুস্থ আরও দুটি। এমন অনেকেরই মারা যাচ্ছে। এতে রাখালরা সবাই অসহায় অবস্থায় রয়েছে।
শহিদুলের মতো এমন অবস্থার শিকার পদ্মার বিভিন্ন চরাঞ্চলের শত শত গরুর রাখাল ও মালিকরা। তারা বলছেন, হঠাৎ করেই সামনের ও পেছনের মাংসপেশি ফুলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যাচ্ছে গরু। তাদের দাবি, শত শত গরু মারা গেলেও সরকারি পশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোনো সহযোগিতা পাননি তারা।
রাখাল ও মালিকরা জানায়, এই এলাকায় ১০ থেকে ১৫ হাজার গরু রয়েছে। কোথায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাবে? পশু হাসপাতালের চিকিৎসকরা সঠিক সময়ে আসছে না, ভ্যাকসিনও দিচ্ছে না। এতে গরুগুলো আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের ডাকলে তারা অনেক টাকা চায়। এতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে।
এর পেছনে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে উদাসীনতা ও দূরদর্শীতার অভাবকেই দায়ী করছেন ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুনজের আলম মানিক বলেন, আমাদের একটা গরু মারা গেলে অনেক ক্ষতি হয়। এতো শত শত গরু মারা যাওয়ার জন্য প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দায়ী।
এদিকে, গরু মৃত্যুর দায় এড়িয়ে গেলেও প্রাথমিকভাবে এটিকে গরুর 'বাদলা রোগ' বলে ধারণা করছে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, যদি গরু নতুন কোনো রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে আমাদের গবেষণাগারে পাঠিয়ে ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে রোগটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করবো।
-চ্যানেল২৪