মূল পাতা আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 14 August, 2024 06:00 PM
বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। স্থানীয় সময় বুধবার (১৪ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে আমরা আমাদের ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমাদের কথা হচ্ছে। এ ছাড়া ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আমরা কথা বলছি।
তিনি বলেন, আমি এখন বিস্তারিত কিংবা ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনায় যাব না। সেই সুযোগও নেই। তবে আমরা চাই বাংলাদেশে যাবতীয় সহিংসতার অবসান এবং জবাবদিহি ও আইনের শাসন নিশ্চিত হোক।
এর আগে মঙ্গলবারের (১৩ আগস্ট) প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বলেন, এই ধরনের অভিযোগ হাস্যকর।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন যে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভের আয়োজন করেছে। যার ফলে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। এ বিষয়ে আপনার (বেদান্ত প্যাটেল) কী কোনো মন্তব্য আছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এটা হাস্যকর। শেখ হাসিনার পদত্যাগের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল, এমন ধারণা ডাহা মিথ্যা। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখেছি। ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা জোরদার করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে।
গত সোমবার (৫ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘিরে গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তিনি এখন ভারতে অবস্থান করছেন।
গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনে জয় নিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে জুন মাসে শুরু হওয়া ছাত্র বিক্ষোভ জুলাইয়ের শেষ ও আগস্টের শুরুর দিকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিলে মাত্র সাত মাস পরই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় শেখ হাসিনা সরকার। কোটা আন্দোলন এবং এর জেরে সারাদেশে সহিংসতায় ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়।
তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা হারানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। সেন্টমার্টিন দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।