| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক জাতিসংঘের কালো তালিকায় ইসরাইলি বাহিনী


জাতিসংঘের কালো তালিকায় ইসরাইলি বাহিনী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     08 June, 2024     12:47 PM    


ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শিশুদের ওপর বর্বর হামলার কারণে ইসরাইলি সেনাবিহনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। গাজায় ইসরাইলি হামলায় হাজার হাজার শিশু নিহত ও আহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নিলো বৈশ্বিক এই সংস্থা।

শনিবার (৮ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে বিমান হামলা চালানোয় শিশুসহ অনেকে মারা যাওয়ায় ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।  গাজায় ইহুদিবাদী সেনাদের হামলায় হাজার হাজার শিশু নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ব সংস্থাটি।

কালো তালিকায় ইসরাইলের অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ আরদান সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম এক্সে বলেছেন, তিনি প্রজ্ঞাপন পেয়েছেন এবং এই পদক্ষেপে তিনি ক্ষুব্ধ বলেও জানিয়েছেন। গিলাদ আরদান আরও বলেন, “এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সেনাবাহিনী হল বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী। ”

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, হামাসকে সমর্থন করে সংস্থাটি নিজেকে ইতিহাসের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, অনেক আগেই ইসরাইলকে কালো তালিকায় যুক্ত করা উচিত ছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৭৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে ২২১ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৬ হাজার ৭৩১। এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।