| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা


ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা


রহমত নিউজ     29 May, 2024     09:02 AM    


এবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার (৩১ মে) বাদ জুমা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েল আক্রমণ ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত করার দাবিতে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গণমিছিলঅনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দলটির এক যৌথসভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়। ঢাকায় পুরানা পল্টনে আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ প্রস্তুতি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরইমধ্যে কর্মসূচি সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।

যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনে বর্বর হামলা করে হাজার হাজার বেসামরিক নারী-পুরুষ-শিশু গণহত্যা করছে। পুরো গাজাকে একটি জেলখানায় পরিণত করে সেখানে ইতিহাসের জঘন্যতম নির্মমতা চালাচ্ছে। গত ৭-৮ মাসে প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে। আর এসবই হচ্ছে আমেরিকার মদদে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা তাদের ন্যায্য দাবি। মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস অবরুদ্ধ করে রেখেছে। মুসলমানদের কেবলা মুসলমানদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধে প্রয়োজনে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এবং ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করে অর্থনীতির উপর আঘাত করতে হবে। মুসলমান দেশগুলো ইচ্ছা করলে ফিলিস্তিনকে সময়ের ব্যবধানে মুক্ত করা সম্ভব। তিনি আরব দেশগুলোসহ মুসলিম দেশগুলোকে ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তম ও রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ স্পেন ও আয়ারল্যান্ড। ২৭ জাতির ইইউর সদস্য সুইডেন, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরি, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া এরই মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মুসলিম দেশগুলোকেও অনুরূপ স্বীকৃতি এবং দাবি আদায়ে কার্যকর ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আল্লামা মকবুল হোসাইন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম ও আব্দুল আঊয়াল মজুমদার।

সহযোগী সংগঠনের নেতারা মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, সেক্রেটারি মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, এইচএম রফিকুল ইসলাম, হাজী শাহাদাত হোসেন, হাজী শাহীন আহমদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ইউসুফ মানসুর, ইমরান নূর, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নেতারা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারি ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর উত্তর জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি ফরিদুল ইসলাম।