প্রবাস ডেস্ক 03 May, 2024 07:56 PM
মালয়েশিয়ায় একজন শিক্ষার্থীসহ ১৮ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) একটি সবজির দোকানে কর্মরত অবস্থায় শিক্ষার্থীকে আটক করে অভিবাসন পুলিশ।
আটকের পর হারিয়ান মেট্রো ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। হারিয়ান মেট্রো বলছে, আটক ওই শিক্ষার্থীর ইচ্ছা ছিল, এক মাসের বেতন পেলেই দেশে ফিরবেন মানসিক সমস্যায় থাকা স্ত্রীকে দেখতে। কিন্তু তার আগেই ইমিগ্রেশন বিভাগ আটক করে তাকে।
এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিস ও ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, মালয়েশিয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের শর্ত সাপেক্ষে পার্টটাইম কাজের অনুমতি থাকলেও অনুমতি নেই ব্যবসা বা সেলসম্যানের কাজ করার। এর আগে অনেক শিক্ষার্থী অবৈধভাবে কাজ করার সময় ইমিগ্রেশনের হাতে ধরাও পড়েন।
সম্প্রতি আটক বাংলাদেশি ওই শিক্ষার্থী, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মালয়েশিয়ার ক্লাং ভেলিতে একটি সরকারি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে আসেন। কাজ আর ডিগ্রির লোভনীয় অফারে আসা এ শিক্ষার্থী গত একবছরে দেশটির নিয়মের জালে আটকা পড়ে নিরুপায় প্রায়। একদিকে হাতে নেই টাকা আরেক দিকে হঠাৎ দেশে থাকা তার স্ত্রীর দেখা দেয় মানসিক সমস্যা। ফলে ওই শিক্ষার্থী সিদ্ধান্ত নেন দেশে ফেরার। তার কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় বিমানে টিকিট কাটতে পারছিলেন না। পরে সিদ্ধান্ত নেন ফুলটাইম কাজ করে বিমানের টিকিটের টাকা জোগাড় করার। কুয়ালালামপুরের একটি সবজির দোকানে কাজ নেন তিনি। সেখানে তার বেতন ধরা হয় মাসে দুই হাজার রিঙ্গিত।
প্রতিদিনের ইমিগ্রেশন আপডেট তথ্য থেকে জানা যায়, অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চলছে দেশটিতে। গত ৩০ এপ্রিল কুয়ালালামপুরের জালান ইপোর পাসার বোরং কমপ্লেক্সে এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালায় ইমিগ্রেশন। এই অভিযানে মোট ৫৮ জনকে আটক করে তাদের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে ওই শিক্ষার্থীসহ মোট ২২ জনকে ভিসা অপব্যবহার ও অবৈধভাবে বসবাসের কারণে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে অবৈধ বিদেশিদের কাজ দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় তিন কোম্পানির মালিককেও আটক করা হয়।