ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ঢাবিসহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ‘গণইফতার’ কর্মসূচি

দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইফতার পার্টি’ বন্ধের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ‘গণইফতার’ কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম রোজায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাঙালি মুসলমানের ঐতিহ্য ইফতার মাহফিল। দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে দেশ থেকে ইসলামি সংস্কৃতি বাদ দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই গণইফতার কর্মসূচি পালন করেছি।

তিনি বলেন, ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আহ্বান জানাই— তারা যেন তাদের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। আশা করি, আর কোনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ইফতার মাহফিল করা একটি ঐতিহ্য। ইফতার মাহফিল বন্ধ করলে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াতে পারে। তাই ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান, তারা যেন তাদের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। আমাদের সব সাধারণ শিক্ষার্থীর এটিই দাবি।

এদিকে ‘ইফতার পার্টি’ বন্ধের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ ইফতার কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া গেছে। তন্মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় , পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্বব্যিালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য।

রোববার (১০ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উল্লেখ করে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এরপরের দিন সোমবার (১১ মার্চ) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই ধরনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে এবারের রোজায় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানানো হয়।