রহমত নিউজ 04 March, 2024 09:57 PM
"সারা দেশে যত্রতত্র কওমি-নূরাণী মাদরাসা বাড়ছে। এতে সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে। এটি সবার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, যে কারণে এটি নিরসন করতে হবে" শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ( বেফাকের) সহ-সভাপতি আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।
শিক্ষমন্ত্রীর এ আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, কওমী মাদরাসা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য মাদরাসা ধ্বংসের নীল নকশা ও গভীর ষড়যন্ত্রের শামীল।
আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্য অনুযায়ী স্কুলগুলোতে ভর্তি সময়কালীন নূরানী মাদরাসাগুলোর ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখা আপত্তিকর ও জঘন্য অপপ্রয়াস। এদেশের কওমি মাদ্রাসা গুলো মুসলমান দানশীলদের অর্থায়নে চলে। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সিলেবাস ও পরিচালনা নিয়ে নাক গলানোর অধিকার কারো নেই। কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র এ দেশের আলেম উলামা ও তাওহীদী জনতা বরদাশত করবে না।
তিনি বলেন, এদেশের বেশীরভাগ মানুষ ধর্মপ্রিয়। তারা সেচ্ছায় তাদের সন্তানদের জেনে বুঝেই মাদরাসায় ভর্তি করে থাকেন। এদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ মনে করে স্কুল কলেজের পাঠ্য পুস্তক থেকে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেয়ার কারনেই অভিভাবকগন তাদের সন্তানদেরকে স্কুলে না দিয়ে মাদরাসায় দিচ্ছে। স্কুলে ছাত্রছাত্রী কম হওয়ার দায় মাদ্রাসাগুলো নিবে কেন জাতি জানতে চায়। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী বৃদ্ধি করতে হলে পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় শিক্ষা পুনঃবহালের বিকল্প নেই। কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক ও আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার দায়ে শিক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগ সহ সরকারের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা ইসলাম বিদ্বেষীদের চিন্হিত করে তাদের অপসারণ করার দাবী করেন তিনি ।