| |
               

মূল পাতা জাতীয় সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মজুতদারদের ঠেকাতে ডিসিদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর


সংগৃহীত

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মজুতদারদের ঠেকাতে ডিসিদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর


রহমত নিউজ     03 March, 2024     02:28 PM    


মজুতদারদের কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে ভোক্তাদের হয়রানি ঠেকানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৩ মার্চ) সকালে নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসকদের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মজুতদারদের ঠেকাতে এবং খাদ্যে ভেজাল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। রোজায় কেউ যেন পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিত্যপণ্য যেন সহজে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়ন টেকসই হয় না তা প্রমাণিত। দেশের উন্নয়নে কাজ করি বলেই মানুষ সুফল পাচ্ছে। জনগণ এবার ভোট দিতে পেরেছে, যার কৃতিত্ব সব প্রশাসনের। তিনি বলেন, যুবসমাজকে দেশের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নজর দিতে হবে যেন কেউ কিশোর গ্যাংয়ের পথে না যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবন নির্মাণ নীতিমালা মেনে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে। আয়কর দেয়ার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। জনগণের সেবার বিষয়টি মাথায় রেখে সব করতে হবে। সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ক্ষমতা ভোগ করার জন্য না। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যেন সঠিক মানুষেরা সুফল পায়, সেটি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সমালোচকরা শুধু তাৎক্ষণিক নিজেদের সুবিধা চায়। জনগণের কল্যাণের কথা আমাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। কে কি বললো, তা না শুনে প্রতিটি প্রকল্প গ্রহণের সময় সাধারণ মানুষ ও দেশের উপকারের কথা বিবেচনা করতে হবে। প্রকল্পে জেলা প্রশাসকদের যথাযথ নজরদারি করতে হবে। সরকারপ্রধান বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করতে হবে। দেশের মধ্যেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই।

এবার ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কার্যালয় ও সংস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রায় ৩৫৬টি প্রস্তাবনা জমা পড়েছে।

প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোর জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশি সংখ্যক প্রস্তাব পড়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ২২টি। গত বছরও একইভাবে ডিসিরা প্রায় আড়াইশ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন।