| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক ভেনেজুয়েলায় স্বর্ণের খনি ধসে প্রাণ হারেলেন অন্তত ২৩ জন


ভেনেজুয়েলায় স্বর্ণের খনি ধসে প্রাণ হারেলেন অন্তত ২৩ জন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     22 February, 2024     10:39 AM    


দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় একটি স্বর্ণের খনিতে ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় সেখানে বহু শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় কর্মকর্তা ইওরগি আর্কিনিগার বরাতে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেশটির বলিভার প্রদেশের জঙ্গলে বুল্লা লোকা নামের ওই উন্মুক্ত সোনার খনিতে মাটির দেয়াল ধসে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ওই খনিতে কমপক্ষে ২০০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। খনিটি বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। এই অঞ্চলটি লা প্যারাগুয়া থেকে চার ঘণ্টা দূরত্বে এবং রাজধানী কারাকাসের ৭৫০ কিলোমিটার (৪৬০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। লা প্যারাগুয়া থেকে ৭ ঘণ্টার নৌকায় ভ্রমণ করে ওই খনিতে পৌঁছানো যায়।  

বেসামরিক নিরাপত্তা উপমন্ত্রী কার্লোস পেরেজ অ্যাম্পুয়েদা এক এক্সবার্তায় এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন এবং ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যাকে ‘অনেক বড় অঙ্ক’  বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও তিনি নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করেননি।

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি উন্মুক্ত খনির অগভীর পানিতে কর্মরত লোকদের ওপর ধীরে ধীরে মাটির একটি প্রাচীর ভেঙে পড়ছে। কেউ কেউ ঘটনার সময় সেথান থেকে পালাতে সক্ষম হলেও অনেকে আবার তাতে চাপা পড়েন।

বলিভার প্রদেশের নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি এডগার কোলিনা রেয়েস বলেছেন, আহতদের আঞ্চলিক রাজধানী সিউদাদ বলিভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলটি লা প্যারাগুয়া থেকে চার ঘণ্টা দূরত্বে এবং রাজধানী কারাকাসের ৭৫০ কিলোমিটার (৪৬০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।

রেয়েস বলেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সামরিক, দমকল বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো ‘আকাশপথে ওই এলাকায় চলে যাচ্ছে’। তিনি বলেন, অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য কারাকাস থেকে উদ্ধারকারী দলও পাঠানো হচ্ছে।

আল জাজিরা বলছে, বলিভার অঞ্চল সোনা, হীরা, লোহা, বক্সাইট, কোয়ার্টজ এবং কোল্টান সমৃদ্ধ। রাষ্ট্রীয় খনি ছাড়াও এই অঞ্চলে অবৈধভাবে এসব মূল্যবান ধাতু উত্তোলনের বিকাশমান শিল্পও রয়েছে।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে একই অঞ্চলের ইকাবারুর আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি খনি ধসে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছিল।