রহমত নিউজ 07 February, 2024 01:45 PM
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শুধু ক্ষমতায় থাকতে বার বার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন বানরের পিঠা ভাগের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কেন ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার করেছে? এই সময়ে বিএনপির রাজনীতি করার অপরাধে কেন ১১ জন কর্মীকে কারাগারে হত্যা করেছে?
বুধবার (৭ জানুয়ারি) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরেই নিহিত, দেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয়তম রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আত্মত্যাগ, তথা সার্থকতা। কারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে এবং শান্তিপূর্ণ ও অহিংস কর্মসূচিতে, বিএনপি মোকাবেলা করে চলেছে সহিংস শেখ হাসিনা সরকারকে। অন্যদিকে ক্ষমতার মোহে অন্ধ আওয়ামী লীগ, একটি দানবীয় অপশক্তিতে পরিণত হয়ে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ধারণ করেছে ঘৃণ্য রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপির সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তি ও পরিবারের ওপর নৃশংস অত্যাচার-অবিচার হয়ে আসছে। দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের অজস্র প্রতিবেদনে তা লিপিবদ্ধ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শামিল হওয়ার অপরাধে, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস না করার অজুহাতে বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মী তাদের নাগরিক জীবন থেকে বঞ্চিত। আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মী প্রতিদিন পুলিশি নিপীড়ন ও বিচার বিভাগের অবিচারের শিকার হচ্ছে।
গায়েবি মামলায় কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই বিএনপি ও সব অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বলেও অভিযোগ করেন তিনি বলেন, মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধ্য করা হচ্ছে হাতকড়া-ডান্ডবেড়ি পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। বাবা-মার জানাজায় অংশ নিতে। বাড়িতে বাড়িতে চলছে ছাত্রলীগ-পুলিশের যৌথ অভিযান ও হামলা। লুটে নিচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্থাপনা-সম্পদ।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতি জনগণের যে সমর্থন এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের অনুধাবন, একটি অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে দেশের প্রায় সব আসনে ধানের শীষের কাছে নৌকার অবশ্যম্ভাবী পরাজয়ের পাশাপাশি, গোপালগঞ্জে খোদ শেখ হাসিনাও হেরে যেতে পারে। এই কারণে তাকে আরও বেশি জনবিদ্বেষী করে তুলেছে, বাড়িয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা। রাজপথে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। গণঅভ্যুত্থানে শিগগিরই সরকারের বিদায় হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করা হবে।