| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব ভারতকে আনুষ্ঠানিক সেনা প্রত্যাহারের অনুরোধ মালদ্বীপের


ভারতকে আনুষ্ঠানিক সেনা প্রত্যাহারের অনুরোধ মালদ্বীপের


মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক     20 November, 2023     09:22 AM    


নিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে সেনা প্রত্যাহারের অনুরোধ করে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেছেন, নয়াদিল্লি যেন কৌশলগত দ্বীপপুঞ্জ থেকে উপহার দেওয়া তিনটি বিমান টহলের জন্য মোতায়েন করা সেনাদের প্রত্যাহার করে। তবে সেনা প্রত্যাহারের জন্য কোনো সময়সীমা বা কতজন কর্মী প্রত্যাহার করতে হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি।

শনিবার নিজ কার্যালয়ে ভারতের ভূবিজ্ঞানমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন। গত সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন মুইজ্জু। গত শুক্রবার তিনি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। মুইজ্জু চীনঘেঁষা হিসেবে পরিচিত। তিনি নির্বাচনে মালদ্বীপের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহকে পরাজিত করেন। সলিহ ভারতপন্থি হিসেবে পরিচিত। মুইজ্জুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু মোদির বদলে অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির ধরিত্রীবিজ্ঞানমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

মুইজ্জু শপথ নেওয়ার পরপরই বলেছেন, মালদ্বীপে কোনো বিদেশি সামরিক সদস্য থাকবে না। যখন আমাদের নিরাপত্তার কথা আসবে, আমি একটি সীমা চিহ্নিত করব। অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও মালদ্বীপ সম্মান রাখবে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের এই অনুরোধের বিষয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলেও তারা তাৎক্ষণিক এর কোনো জবাব দেয়নি।

ভারতের একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কার্যকর সমাধান নিয়ে উভয় দেশের সরকার আলোচনা করবে। তবে মালদ্বীপ থেকে ভারত তার সেনা ফিরিয়ে নেবে কিনা, তা স্পষ্ট করেননি এই কর্মকর্তা। মালদ্বীপে প্রায় ৭৫ সদস্যের ভারতীয় সেনার উপস্থিতি রয়েছে। মালদ্বীপ থেকে সব ভারতীয় সেনা সরানোর বিষয়ে মুইজ্জু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেন। ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটিতে প্রভাব বিস্তারের জন্য ভারত ও চীনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। শনিবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারতের কাছে অনুরোধ জানাতে মালদ্বীপের জনগণ তাঁকে ক্ষমতা দিয়েছে। তাই তিনি আশা করছেন, মালদ্বীপের জনগণের গণতান্ত্রিক ইচ্ছাকে ভারত সম্মান করবে। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।