| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ২ দিনের হরতাল দিলো বিএনপি


তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ২ দিনের হরতাল দিলো বিএনপি


রহমত নিউজ     15 November, 2023     08:22 PM    


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির পক্ষ থেকে হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়।

এর আগে এদিন সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত।

তফসিল ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে দেশকে গভীর সংকটের দিকে ফেলে দিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই স্বৈরাচার সরকারের প্রধান দলদাস।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সিলেকশন ভোটের তফসিল ঘোষণা করে জাতির চরম তামশা করেছে। ‘দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট করে দিয়েছে এবং বিরোধী দলগুলোকে এমনকি পেশাজীবীদেরকে গুম, খুন, মামলা, হামলা, গ্রেফতার ও  নির্যাতনসহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিভিন্ন অজুহাত তৈরি করে বিএনপির মত অত্যন্ত জনপ্রিয় দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, সংগ্রামী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ওমর বীর উত্তম ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতাদের কারাগারে প্রেরণ করে বিরোধী দমনের চূড়ান্ত নজির স্থাপন করে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করে আবারো ক্ষমতায় আসার সব ব্যবস্থা করেছে। সে কারণেই সরকারের পদলেহনকারি আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন জনগণের দাবী দাওয়া আমলে না নিয়ে তফসিল ঘোষণা করায় দেশে সংঘাতময় পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এমনকি লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই সোনার বাংলাদেশ আজ গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে।’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘এমনিতেই তথাকথিত উন্নয়নের নামে দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করে দিয়েছে, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে গিয়েছে, জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষা ব্যবস্থাকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দিয়েছে, স্বাস্থ্য সেবা নিজেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অন্তিম পর্যায়ে চলে গেছে এবং সরকারের সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে সাধারণ মানুষ সাধারণভাবে কোন সেবা পায় না। মোট কথা এই সরকার যেকোনো মূল্যে দেশটাকে খুবলে খেয়ে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়ে এমন অবস্থা তৈরি করতে চায় যাতে তারা কোন এক দিন ক্ষমতা থেকে চলে গেলে পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তাদের পক্ষে কোনমতেই দেশকে একটা স্থিতিশীল, স্বাভাবিক ও মানুষের বসবাস করার মত পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব না হয়।’