আ’লীগ দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে : বাম জোট

আওয়ামী লীগ যেকোনোভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশকে একটি ভয়াবহ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এটি করার অধিকার তাদের নেই। অবিলম্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগ নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের গণদাবিকে অগ্রাহ্য করছে। বিরোধী দল-মতের ওপর নির্যাতন–নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পরে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে প্রতিবাদের টুঁটি চেপে ধরছে। টেলিফোনে আড়ি পাতার মাধ্যমে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর সরকার হস্তক্ষেপ করছে।

রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সভা থেকে আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জোটের সমাবেশের আহ্বান করা হয়।

সভায় পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বক্তারা বলেন, তৈরি পোশাক কারখানার মালিকেরা ১০ হাজার ৪০০ টাকা মজুরি প্রস্তাব করেছেন। ২০১৮ সালে যে মজুরি ঠিক করা হয়েছিল, মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হিসাব করলে সেই মজুরির বর্তমান মূল্য এখন ১১ হাজার টাকার বেশি। মালিকদের প্রস্তাবিত মজুরি বাস্তবে শ্রমিকদের বর্তমান মজুরির চেয়েও কম।    

বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) নির্বাহী সদস্য জয়দীপ ভট্টাচার্য, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সদস্য শহিদুল ইসলাম (সবুজ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য সাজ্জাদ জহির (চন্দন), বাসদের সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান (রতন), সদস্য নিখিল দাস, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সদস্য আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির সহ সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ প্রমুখ।