দেশ চালাচ্ছে ‘ডি গ্রেড’ ধারীরা : মাওলানা আজাদ

খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানীতে এসে ঠেকেছে। ইচ্ছেমত টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ধার দেয়ার কারণে দেশে বড় ধরণে মুদ্রাস্ফীতি তৈরি হয়েছে। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতি এখন লাগামহীন। সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে। ডলার সংকট এবং এর বিপরীতে টাকার বারবার অবমূল্যায়নে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের কাছাকাছি। রাজনৈতিক প্রভাবে খেলাপী ঋণগুলো আদায় করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চরম ব্যর্থতা আজ শুধু দেশে নয় বিদেশীদের কাছেও এখন ধরা পড়েছে। নিউইয়র্ক ভিত্তিক গ্লোবাল ফিন্যান্স ম্যাগাজিন সম্প্রতি এক র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণরকে ডি গ্রেড দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয় এখন দেশের সবকিছুই চালাচ্ছে এরকম ডি গ্রেডধারী মন্ত্রী-আমলারা। দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণ নিয়ে যারা চিন্তা করে না। শেষ মুহূর্তে এসে সরকার দেশকে এভাবে দেউলিয়ার কাছাকাছি পৌঁছে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন এবং অর্থনীতি অস্থিতিশীল করার কারণে জনগণ একদিন এই সরকারের বিচার করবে। সরকারকে অবিলম্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইনের পরিচালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক একেএম মাহবুব আলম, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, ডা. আসাদুল্লাহ, সহ-অর্থ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সহ-আইন সম্পাদক এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, আবুল হোসাইন প্রমুখ।