রহমত নিউজ ডেস্ক 25 September, 2023 02:16 PM
ই-ক্রয় কার্যের ৭০ ভাগ পাচ্ছেন স্থানীয় ঠিকাদাররা। আর মাত্র ৩০ ভাগ কাজ পাচ্ছেন স্থানীয় নন এমন ঠিকাদার। ঠিকাদারের আধিপত্য ইঙ্গিত করে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য যোগসাজশ এবং গোষ্ঠীগত নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক প্রভাব বিদ্যমান।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডির ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নিজস্ব কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশে সরকারি ই-প্রকিউরমেন্ট : প্রতিযোগিতামূলক চর্চার প্রবণতা পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাপত্রট উপস্থাপন করেন গবেষক মোহাম্মদ তৌহিদুর ইসলাম।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ৯২টি ক্রয়কারি প্রতিষ্ঠানে একক দরপত্র পড়ার হার ৭৫ ভাগের বেশি। বছরওয়ারি একক দরপত্র ৪১৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একক দরপত্রের মাধ্যমে ৭৫ শতাংশ কাজ পেয়েছে। ৬০ হাজার ৬৯ কোটি টাকার কার্যাদেশ একক দরপত্রের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের পর থেকে একক দরপত্র পড়ার হার বাড়ছে। একক দরপত্র পড়ার হার সর্বোচ্চ ছিল ২০১৮ সালে ২৩.১৩ শতাংশ। করোনোর সময়কালে একক দরপত্র পড়ার হার কমেছিল, আর ২০২৩ এর প্রথম তিনমাসের হিসেবে এ হার প্রায় করোনা পূর্বের অবস্থার কাছাকাছি গিয়ে ঠেকেছে। আর সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি একক দরপত্র পড়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, এ হার ৬২.৭০ শতাংশ এবং এরপরের অবস্থান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের, হার ৫৫.২১ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যে তথ্য সরকার কর্তৃক প্রকাশিত, সেখান থেকে কতটুকু প্রতিযোগিতা হয়েছে, সেটাই ছিল আজকের গবেষণার মূল উদ্দেশ্য। কার্যাদেশ পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব, যোগসাজশ ও দরদাতাদের সিন্ডিকেট এখনো গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্রয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও দরদাতাদের সিন্ডিকেট এখনও সক্রিয়। কাজ নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া, অবৈধভাবে সাব-কন্ট্রাক্ট দেওয়া এবং কাজ ভাগাভাগির কারণে মান খারাপ হচ্ছে।