রহমত নিউজ 15 September, 2023 04:26 PM
মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেইটে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
যুব মজলিস ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ ও সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মুর্শিদুল আলম সিদ্দিকীর যৌথ পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন। তিনি বলেন, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির পক্ষে। আদালতের দোহাই দিয়ে বন্দি রাখার এই মিথ্যা প্রহসন বন্ধ করুন। আপনারা মামুনুল হকসহ বিরোধী মত দমনে বিচার বিভাগকে হাতিয়ার বানিয়েছেন। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। আমরা এসকল অন্যায় আর অসত্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়েই যাব, জুলুম করে এই আন্দোলন থামিয়ে দিতে পারবেন না ইনশাআল্লাহ। মাওলানা মামুনুল হকসহ বিরোধী মত দমনে সরকার বিচার বিভাগকে হাতিয়ার বানিয়েছে। আদালতের দোহাই দিয়ে বিরোধী মতের লোকদের বন্দি রাখার এই মিথ্যা প্রহসন বন্ধ করুন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যখোঁর সাথে প্রধানমন্ত্রীর আত্মমর্যাদাহীন আচরণ ও অঙ্গভঙ্গীর নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, মুসলিম দেশের একজন প্রতিনিধি হিসেবে তাহাজ্জুদের কথা বলেন, কুরআন তেলাওয়াতের ছবি ভাইরাল করেন, অথচ বিশ্ব মানবতার নবীর প্রতি আপনার সামান্য ভালোবাসাও নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে মুক্তির দাবি করছি, সরকার কর্ণপাত করছে না। সতর্ক করে বলতে চাই, যদি না শুনেন, যদি আঙুল বাকা করতে হয়, তাহলে ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা না।
তিনি আরও বলেন, বিচারক বিভাগকে আপনারা স্বাধীন বলছেন, অথচ জনগণ দেখছে, বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করছে, সারাবিশ্ব হতবাক হয়ে যাচ্ছে- বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে আপনারা ধ্বংস করে ফেলছেন। এ সময় তিনি আগামী ২০ অক্টোবর মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় যুব সমাবেশ সফলের আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, আজ যেদিকে তাকাই শুধুই সংকট। সবাই দিশেহার। এই সরকার নিজেদের অন্যায় ঢাকতে আলেমদের গ্রেফতার করে রেখেছে। মামুনুল হকের জনপ্রিয়তাকে সরকার ভয় করে। মামুনুল হক থাকলে তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবে, এটাই তার অপরাধ। অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমানের কি অপরাধ ছিল? ২০১৩ এর শাপলা চত্বরের সত্য পরিসংখ্যান তুলে ধরা? আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই ও তার মুক্তি দাবি করছি।
সভাপতির বক্তব্যে খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান বলেন, আজ এদেশের উপর ফ্যাসিস্ট সরকার জগদ্দল পাথরের ন্যায় বসেছে। এদের হঠানো ছাড়া বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি হবেনা। সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ সরকার আজগুবি খাবারের রেসিপি দিয়ে জনগণের সাথে উপহাস করছে । জনগন এ কু খাদ্য আর তামাশা মেনে নিবে না। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন এই সরকার রাজনৈতিক ভাবে খেলতে না পেরে মিথ্যা মামলা করেছে মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হুসাইন রাজি, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, খেলাফত ছাত্র মজলিস পশ্চিমের সভাপতি দিদারুল ইসলাম।
আরও উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা আল আবিদ শাকির, সমাজকল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন, প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া আল ফারুকী, দফতর বিভাগের সম্পাদক মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান, মজলিসে আমেলা সদস্য মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ আমীন, মাওলানা আবুল খায়ের শরীফী, মাওলানা ওমর মাতুব্বর, মুহাম্মাদ নাঈমুদ্দীন, খেলাফত ছাত্র মজলিস দক্ষিণের সভাপতি জাবের আলহুসাইন, পূর্বের সভাপতি মাহদি, উত্তরের সভাপতি সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।