রহমত নিউজ ডেস্ক 14 September, 2023 02:57 PM
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দর নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। সম্প্রতি এই খাতের ওপর আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এই সুপারিশ করেন বিশেষজ্ঞরা। জি-গ্যাস ‘বাংলাদেশে এলপিজির গতিপ্রকৃতি’ শিরোনামে ওই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ওয়েবিনারে আলোচক ছিলেন এনার্জিপ্যাকের পরিচালক নাওইদ রশিদ এবং বসুন্ধরা গ্রুপের হেড অব প্ল্যানিং অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি জাকারিয়া জালাল। আর সঞ্চালনায় ছিলেন ব্যবসা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ রাজা।
নাওইদ রশিদ বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে এলপিজির দাম নাগালে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের উচিত বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খাতে ভর্তুকি দেয়া। এছাড়া প্রতিবছর এলপিজির দর সমন্বয় করা যেতে পারে। অন্যথায় হঠাৎ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তাতে গ্রাহকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ইতোমধ্যে এলপিজি খাতে অতি বিনিয়োগ হয়েছে। ফলে খাতটি তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সঙ্গে এলপিজি খাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দামের পার্থক্য নিয়ে কথা বলে জাকারিয়া জানান, ডলারের দামের ওপর এলপিজির মূল্য নির্ধারণ নির্ভর করে। ফলে নির্দিষ্ট কোনও দর না রাখাই ভালো। সেক্ষেত্রে ডিরেকটিভ প্রাইস (সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন) নির্ধারণ করা যেতে পারে। এমনটি হলে বাজারে এলপিজির মূল্য স্থিতিশীল থাকবে।