| |
               

মূল পাতা সারাদেশ রাজধানী ‘কতটা দেউলিয়া হলে একটি দল সেলফি নিয়ে অস্তিত্ব জাহির করে’


ফাইল ছবি : সংগৃহীত

‘কতটা দেউলিয়া হলে একটি দল সেলফি নিয়ে অস্তিত্ব জাহির করে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     12 September, 2023     09:54 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেলফি নিয়ে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব জাহির করতে চায়। কতটা দেউলিয়া হলে একটি দল সেলফি নিয়ে অস্তিত্ব জাহির করে। সেদিন ওবায়দুল কাদেরের কথা শুনে আমার অনেক হাসি পেয়েছিল। একটা সেলফি, সেই সেলফি দিয়ে তারা জাহির করার চেষ্টা করেছে যে তারা শেষ হয়ে যায়নি বেঁচে আছে। এখান থেকে বোঝা যায় তারা কতটা দুর্বল। এই দুর্বল সরকারকে যদি আমরা সঠিকভাবে ধাক্কা দিতে পারি তাহলে তাদের পতন হবে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ জি কে গউছসহ গ্রেপ্তারকৃত সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে ঢাকাস্থ সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি আইনুল হক রেজা শাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম খানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনসহ স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার শিপা, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম, ঢাকাস্থ সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা জাকির হোসেন, এ কে এম রিপন তালুকদার প্রমুখ।

গয়েশ্বর বলেন, আমরা প্রতিদিন রক্ত দেই, কিন্তু সময় মতো রক্ত দেই না। আমরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি, কর্মসূচি অংশগ্রহণ করি, নিজেদের বাঁচিয়ে। তারপরও আমরা দেখি ক্যামেরা আছে কি না। এই ক্যামেরা হচ্ছে একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে জনগণের কাছে আমাদের কথা পৌঁছে যায়। কিন্তু একটা সময় ক্যামেরা ছিল না তখন কিন্তু আন্দোলন সফল হয়েছে। এখন ক্যামেরা আছে গণমাধ্যম আছে তারপরও আন্দোলন সফল হচ্ছে। কারণ বর্তমান সময়ে যে গণমাধ্যমগুলো আছে এগুলোকে আমি গণমাধ্যম বলি না। এগুলো হচ্ছে শেখ হাসিনার মাধ্যম। সাংবাদিকরা যদি শেখ হাসিনার কথা না শুনে তাহলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবে। আর প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে তাদের চাকরি থাকবে না। তাই তারা সঠিকভাবে সত্য প্রকাশ করতে পারছে না।  সরকারকে পতন করতে পারলে সবার মুক্তি হবে, আমাদের নেতাকর্মীদের মুক্তি চেয়ে লাভ নাই। শেখ হাসিনা পতন চাইতে হবে। তবে যত কথাই বলি না কেন। যত প্রতিশ্রুতি দেই না কেন, জনগণের কাছে দৃশ্যমান না হলে জনগণ উজ্জীবিত হবে না। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া অনেক শক্তিশালী ছিল, শেখ হাসিনা কিন্তু ততটা শক্তিশালী সরকার না। গত ৫৩ বছরে এরকম দুর্বল সরকার আর আসেনি। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। তাদের আছে চাপার জোর। এজন্য তারা অত্যাচার, স্বৈরাচারী পন্থা অবলম্বন করেছে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা