| |
               

মূল পাতা স্বাস্থ্য ‘হাসপাতালে অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে নিয়মিত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করা উচিত’


‘হাসপাতালে অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে নিয়মিত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করা উচিত’


স্বাস্থ্য ডেস্ক     11 September, 2023     08:02 PM    


হাসপাতালে অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে দায়িত্বরতদের নিয়মিত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা ও ফায়ার ড্রিল করার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা চাই না অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটুক, মানুষ মারা যাক, প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হোক। তাই হাসপাতালে অক্সিজেন ব্যবহারের গাইডলাইন জানা দরকার। হাসপাতালের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের নিয়মিত ফায়ার ড্রিল করা উচিত। পাশাপাশি যন্ত্রপাতিগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত কোথাও কোনো লিকেজ আছে কি না। তাহলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।  এর সাথে হাসপাতালের সমস্যা সমাধানে গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও ইউনিসেফ যৌথভাবে আয়োজিত মেডিকেল গ্যাস সিস্টেম প্রতিস্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত বিষয়ক গাইডলাইন এবং এসওপিসমূহের মোড়ক উন্মোচন ও অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক ও সিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়ট।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসাসেবায় বেশকিছু গ্যাসের প্রয়োজন হয়। সেগুলোর মধ্যে অক্সিজেন হলো অন্যতম। রোগীদের সঠিক চিকিৎসার জন্য সবসময় অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। তাই অক্সিজেন সব সময় প্রস্তুত রাখতে হয়। চিকিৎসাসেবায় অক্সিজেন যেমন প্রয়োজন, তেমনি এটি সংবেদনশীলও। কারণ অক্সিজেন ছাড়া মানুষ এক মিনিটও বাঁচতে পারে না। আবার অক্সিজেনের সিস্টেম ভালো না হয়, যদি লাইনে লিকেজ হয়, বা মিসইউজ হয়, যদি অক্সিজেনের ফ্লো বাড়ে বা কমে তাহলে মানুষ মারা যাবে। অক্সিজেন সবসময় সঠিক অনুপাতে রাখতে হবে। লাইনে লিকেজ হলে স্পার্কের মাধ্যমে আগুন ধরে যেতে পারে। কাজেই অক্সিজেন ব্যবহারে গাইডলাইন দরকার। মেশিনারি ব্যবহার করলে সেটির গাইডলাইন থাকতে হবে। কারণ যারা রোগীদের চিকিৎসা দেবে ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান, তাদেরও সুরক্ষা দরকার, হাসপাতালের সুরক্ষা দরকার। যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। এজন্য গাইডলাইন দরকার। পাশাপাশি এ গাইডলাইন অনুযায়ী চলা, এ গাইডলাইন পড়া, ট্রেইনিং করানোও দরকার।

মূল প্রবন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক ও সিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, অক্সিজেন একটি তালিকাভুক্ত চিকিৎসা পণ্য। সেইসঙ্গে বিস্ফোরক পদার্থ হিসেবেও পরিচিত। তাই অক্সিজেন উৎপাদন থেকে শুরু করে ব্যবহার, সব পর্যায়ে এর নিরাপত্তা বিধান, কোনো দুর্ঘটনা বা অযৌক্তিক ব্যবহার থেকে সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যক। কোভিড-১৯সহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল এ ভিআইই ট্যাঙ্ক, মেডিকেল গ্যাস পাইপলাইন সিস্টেম ও অক্সিজেন জেনারেটর প্লান্ট স্থাপন কার্যক্রম চলমান আছে। এসব মেডিকেল গ্যাস সিস্টেম প্রতিস্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করার সহজবোধ্য ও ব্যবহারযোগ্য গাইডলাইন, নির্দেশিকা ও এসওপি প্রস্তুত করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা এবং উপজেলা হাসপাতালের প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন পরিচালক, তত্ত্বাবধায়ক, আইসিইউ, অ্যানেস্থেসিয়া, আবাসিক চিকিৎসক, নার্স, টেকনশিয়ান এবং ওয়ার্ডবয়দের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং এ কার্যক্রম চলমান আছে। এটি দেশের অক্সিজেন সুরক্ষা ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে পরিগণিত হবে।

স্বাস্থ্য ডিজি অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, চিকিৎসা খাতে অক্সিজেনের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু যথাযথ ব্যবহারের অভাবে এটি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই মেডিকেল গ্যাস সিস্টেম প্রতিস্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত বিষয়ক গাইডলাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যারা এ গাইডলাইন তৈরি করেছেন তাদের ধন্যবাদ।