রহমত নিউজ 03 September, 2023 04:23 PM
সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কারো সাথে যুদ্ধ চাই না, বরং শান্তিতে থাকতে চাই। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
আজ (৩ সেপ্টেম্বর) নৌবাহিনী প্রধানের সচিবালয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী সিলেকশন বোর্ড-২০২৩-এ ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির স্বার্থে বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। প্রতিটি দেশের সাথে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যেহেতু আমরা জাতির পিতার দেয়া নীতি অনুসরণ করছি, তাই আমরা সবার সাথে সমানভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছি। কারণ আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা। সরকার সফলভাবে দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধন করছে। জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা কারো সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হব না। আমরা সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। তাঁর সরকার সফলভাবে এই ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরীতা নয়’- পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হবে, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশ যত এগিয়ে যাবে, সেই সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী করে এগিয়ে নিতে পারব। দুর্যোগ মোকাবিলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়ায়। মানুষের কাছে থেকে একটি আস্থা-বিশ্বাস তারা অর্জন করতে পেরেছে।
নেতৃত্ব নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীতে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, তার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচক্ষণতা ও নিরপেক্ষ বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে উচ্চ নৈতিক মনোবলের যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তা, বিশেষ করে যারা বাস্তব কর্মক্ষেত্রে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে কাজ করে সাফল্য অর্জন করতে পারেন, সেই ধরনের নেতৃত্বকে আপনারা বেছে নেবেন। আমরা এটিই চাই, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা, যে আদর্শ, যে লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই আদর্শে যারা দীক্ষিত, যাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ আছে, তাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা একান্তভাবে দরকার।