রহমত নিউজ ডেস্ক 26 July, 2023 03:35 PM
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ওয়ার্কিং ডে-তে বিশাল বিশাল জনসভা করে লাখ লাখ মানুষকে রাস্তায় আটকে রাখার মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করে, তারা যেন ভবিষ্যতে ওয়ার্কিং ডে-তে না দিয়ে বন্ধের দিনগুলোতে কর্মসূচি গ্রহণ করেন। আর যারা সমাবেশে আসবেন তারা যেন লাঠিসোটা বা ব্যাগ নিয়ে না আসেন। আপনারা সমাবেশ করেন, কিন্তু জনগণকে কষ্ট না দিয়ে। হয়তো ভবিষ্যতে এমন সময় আসবে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে আমাদের বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে। রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন জনগণের ভোগান্তি না হয়। এর বিপরীত হলে বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে। সমাবেশের জন্য আমরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৯টি দলের আবেদন পেয়েছি। আমরা পর্যালোচনা করে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেবো। যারা অনুমতি পাবেন, তাদের রাজনৈতিক সমাবেশ করা, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
বুধবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১০ই মহররম পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বিভাগ সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালিত হবে। আপনারা জানেন আগামী ২৯ জুলাই পবিত্র আশুরা। সারা বিশ্বে মুসলিম সম্প্রদায় অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পবিত্র আশুরা উদযাপন করে থাকি। শিয়া সম্প্রদায় আশুরা উপলক্ষে সুন্নিদের থেকে আলাদা কিছু রীতি ও নিয়মকানুন তারা পালন করেন।আজ আমরা এখানে ঘুরে ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখলাম। আমরা ইমামবাড়া এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। রাস্তাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এই এলাকার সামনে-পেছনে সাদা পোশাক ও পোশাক পরিহিত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। এই পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে। যাতে পুনরায় কোনো দুষ্কৃতকারী এখানে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটাতে পারে।আমরা আশা করব আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালিত হবে। এক্ষেত্রে আয়োজকদের প্রতি আমাদের কিছু পরামর্শ রয়েছে। তাজিয়া মিছিলে যেন উচ্চস্বরে ঢাক-ঢোল না বাজানো হয়, গায়ে চাদর ঢেকে কোনো লোক যেন চলাফেরা না করে, শরীরের আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা, শিশুদের জন্য দৃষ্টিকটু হয় এসব বিষয় এড়িয়ে চলা। আয়োজকদের সঙ্গে মিটিং করে এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। ওনারাও কিছু নিরাপত্তা পরামর্শ দিয়েছেন। আশা করি সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারবো।